ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সিনেটে ভোটাভুটির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গিয়ে স্থানীয় সময় বুধবার সিনেটে সিনেটররা ৬৩-৩৭ ভোটে যুদ্ধে আমেরিকান সমর্থন-সহায়তা বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস অবশ্য সিনেটরদের বারবার অনুরোধ জানিয়েছিলেন যেন এ প্রক্রিয়া শুরুর পক্ষে তারা সমর্থন না দেন, কেননা এতে ইয়েমেনের পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে আর যুদ্ধবিরতির চেষ্টাও ব্যাহত হবে।
গত ২ অক্টোবর তুরস্কে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার ঘটনা এবং এর পরবর্তী অনুসন্ধান ও সমালোচনার ধারাবাহিকতায় এ সিদ্ধান্ত নিলো মার্কিন সিনেট।
বুধবার দিন শেষে রুদ্ধদ্বার শুনানি অধিবেশনে সিআইএ’র পরিচালক জিনা হাসপেলের অনুপস্থিতি নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন সিনেটররা। কিন্তু পম্পেও তার অনুপস্থিতির কারণ প্রকাশে অস্বীকৃতি জানান।
হাসপেল তুর্কি সরকারের সরবরাহ করা খাশোগি হত্যাকাণ্ডের সময়কার অডিও রেকর্ডও শুনেছিলেন এবং অন্যান্য তথ্য-প্রমাণও পড়ে দেখেছিলেন। একজন সিনেটর শুনানিতে তার না থাকাকে ‘ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা’ বলেও মন্তব্য করেন।
সিনেটের এই সিদ্ধান্তকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিপ্লব হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। কারণ এতকিছুর পরও ট্রাম্প বারবার জোর দিয়ে বলে আসছিলেন সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু। রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আহ্বানও বারবার এড়িয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।