টিকটকে ‘অপু ভাই’ নামে পরিচিত অপুকে এলাকায় ইয়াসিন নামে চেনে গ্রামের মানুষ। ঢাকায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর ইয়াসিনকে এলাকাবাসী নতুনভাবে অপু নামে জানে। ইয়াসিন আরাফাত অপুর বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নে।
ছোটবেলায় বাবা-মায়ের ডিভোর্স হয়ে গেলে সোনাইমুড়ি পৌরসভার কৌশল্যারবাগ গ্রামে নানার বাড়িতে বড় হয় সে। সেখানে কোশল্যারবাগ তালিমুল কোরআন নূরানী কাওমী মাদ্রাসায় ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করে। অভাব অনটনের কারণে বেশিদূর পড়ালেখা করতে পারেনি। কিছুদিন কাজ শিখে করে মোবাইল ও টিভি মেকানিকের কাজ। এরপর কাজ করে সোনাইমুড়ি বাজার ও জেলা শহরের বিভিন্ন সেলুন দোকানে।
অপুর ছোট ভাই আরাফাত অন্তর জানায়, অপুকে অন্য এলাকায় কয়েকটি টিকটক গ্রুপ কয়েক দফা মারধর করার চেষ্টা করে। কারণ তার মতো সেলিব্রেটিকে মারধরের ভিডিও আপলোড করলে ভাইরাল হবে।
এলাকাবাসী জানায়, গত দুই বছর যাবত অপু এলাকায় দল বেধে ঘুরে এবং মোবাইলে ভিডিও বানায়। তার সাথে আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে কিশোর-তরুণরা এসে ভিডিও বানাতো। অনেকসময় ঢাকা থেকে গাড়ি রিজার্ভ করেও অনেক তরুণ আসতো। এতদিন এসব ভিডিও বানানোর ক্ষেত্রে এলাকাবাসী তার মাঝে খারাপ কিছ কখনও দেখেনি।
কোশল্যারবাগ গ্রামে দেখা যায় অনেক তরুণ অপুর স্টাইলে হেয়ার কাট দেয়। একজন কিশোর অবশ্য স্বীকার করলো সে অপুর ভক্ত। তাই এ ধরনের হেয়ার স্টাইল করেছে।
শার্প ইমেজ সেলুনের মালিক আশরাফ উদ্দিন নিপু জানায়, সেলুনে অপু ভালো কাজ করতো। টিকটক লাইকিতে আসক্ত হওয়ার পর থেকে সে উদাসিন হয়ে পড়ে। টিকটক লাইকি কর্তৃপক্ষ আরো সুন্দরভাবে ভিডিও বানানোর জন্য তাকে ফ্লাশ লাইটসহ বিভিন্ন কিছু গিফট করে। সেলুনের মালিক আশরাফ যুবসমাজকে রক্ষার জন্য টিকটক লাইকি ব্যবহারে আরো নিয়ন্ত্রণ আরোপের দাবি জানান।