একের পর এক শট রাখছেন লক্ষ্যে। কিন্তু সুযোগগুলো গোলে রূপান্তর হচ্ছে না ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। জিদান অবশ্য বলছেন তাড়া নেই। রোনালদো জমানো গোল দিয়ে সামনে ঠিকই আলোকিত করবেন লা লিগায় দলের পয়েন্ট টেবিল। জিদানের তাড়া না থাকাটাই স্বাভাবিক! অন্যরা যে কাজের কাজটা করছেন ঠিকঠাক। রোববার রাতে যেমন আরেকবার করলেন ইস্কো।
ইস্কোর জোড়া গোলে এস্পানিয়লকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে চলতি লা লিগায় প্রথম জয় এটি। নিজেদের মাঠে লিগে প্রথম দুই ম্যাচে ড্র করার পর রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে ১-০তে হেরে মাঠ ছেড়েছিল রিয়াল।
এস্পানিয়লের বিপক্ষে ২৩ সেকেন্ডেই এগিয়ে যেতে পারত রিয়াল। দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে গোলরক্ষককে একা পেয়েও জাল খুঁজে নিতে পারেননি ইস্কো। দ্বিতীয় মিনিটে স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের আরেকটি শট ঠেকিয়ে দেন এস্পানিয়ল গোলরক্ষক পাওলো লোপেজ।
ম্যাচের ৩০ মিনিটে আর সুযোগ হাতছাড়া করেননি ইস্কো। রোনালদোর বাড়ানো বলে বক্সের মধ্য থেকে এগিয়ে যাওয়া গোলটি করেন এই মিডফিল্ডার। তিন মিনিট পর রোনালদোর কোনাকুনি শটে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান অতিথি গোলরক্ষক। প্রথমার্ধে আরও দুটি সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি সিআর সেভেন।
মধ্যবিরতির পর ৭১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইস্কো। মার্কো অ্যাসেনসিওর ক্রসে জয় নিশ্চিত করেন রিয়ালের।
এই জয়ে ৭ ম্যাচে চার জয় ও দুই ড্রয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে উঠেছে এসেছে রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সেলোনা সমান ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে।
ম্যাচ শেষে ইস্কোর প্রশংসার পাশাপাশি রোনালদোকে নিয়েও কথা বলতে হল জিদানকে। জিদান পর্তুগিজ অধিনায়কের গোল না পাওয়াকে অফফর্ম বলতে নারাজ। আর বলবেনই বা কেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তো গোল করে চলেছেন রোনালদো। লা লিগায় দ্রুতই খাতা খুলবেন বলে দলের প্রাণভোমড়াটিকে আগলে রাখলেন জিজু। সঙ্গে তরুণদের গড়ে দেয়া সাফল্যকে উপভোগ করতে বলেছেন।