সৌদি আরবে আরব ইসলামিক আমেরিকান সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ইসরায়েলে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডেও সফর করবেন তিনি।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনে দু’দিনের সফরে ট্রাম্প দু’দেশের নেতৃবৃন্দের সঙ্গেই আলোচনায় বসবেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্ব অবসানের জন্য একটি শান্তিচুক্তিই সর্বশেষ উপায় বলে এর আগেও বলেছেন। তবে চুক্তিটি কেমন হবে বা তাতে কী কী থাকা উচিত, এ ব্যাপারে কখনোই স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।
ট্রাম্পের মতে, চুক্তিটিতে কী কী থাকবে বা সেটি কেমন হবে – বিষয়গুলো ইসরায়েল আর ফিলিস্তিনের নেতারা মিলে সরাসরি আলোচনা করেই ঠিক করে নেয়া ভালো।
ফিলিস্তিন আর ইসরায়েলের দ্বন্দ্বে শুধু ট্রাম্প নন, এর আগের মার্কিন প্রেসিডেন্টরাও ইসরায়েলের পক্ষেই একটু বেশি ঝুঁকেছেন। আর ট্রাম্প এক্ষেত্রে বরাবরই ঝুঁকেছেন আরেকটু বেশি। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার চেয়ে ট্রাম্পকে ইসরায়েলের নিত্যনতুন জায়গা দখল করে বসতি স্থাপনের বিতর্কিত ইস্যুতে বেশ নমনীয় অবস্থানে দেখা গেছে।
বিবিসি জানায়, ১৯৬৭ সালে জেরুজালেমের পশ্চিম তীর ও পূর্বাঞ্চল দখল করে স্থাপিত ইসরায়েলি বসতিতে ৬ লাখেরও বেশি ইহুদির আবাস। ফিলিস্তিনিদের দাবি, ভূমিটি তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের জন্য নির্ধারিত ছিল, এলাকাটি তাদের। ওই বসতিগুলো আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ হলেও ইসরায়েল তা কখনোই মানেনি। বরং যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট হয়ে আরও বেশি ভূমি দখলে এগিয়ে গেছে।
এবারও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জেরুজালেম ইস্যুতে মিশ্র সংকেতই দিয়েছেন। এমনকি ইসরায়েলে আমেরিকান দূতাবাস তেল আবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে নিয়ে যাওয়ার কথাও সম্প্রতি বলেছেন তিনি। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে ইসরায়েল আনন্দিত হলেও ক্ষুব্ধ হয়েছে ফিলিস্তিন।