ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বৈধতার সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি।
সংস্থা দুটি বলেছে, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে পশ্চিম তীরে ইসরাইলের বসতি স্থাপন এখনো অবৈধ। বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা থেকেও বলা হয়েছে, জেনেভা চুক্তি ভঙ্গ করে দখলকৃত ভূখণ্ডে বসতি স্থাপন করা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধের শামিল।
সোমবার ফিলিস্তিনের দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলের বসতি স্থাপনকে আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে ‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ নয়’ বলে মন্তব্য করে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও আরও বলেন, পশ্চিম তীর কার, এ নিয়ে আলোচনা করা ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের বিষয়।
দেশটির নতুন এই ঘোষণা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপরীত।
বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে একে ‘ঐতিহাসিক ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। সেই সঙ্গে অন্যান্য দেশগুলোকেও একই অবস্থান গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
তবে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র ও দেশটির পক্ষে প্রধান আলোচনাকারী সায়েব ইরাকাত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক আইনের সম্পূর্ণ বিরোধী। এটি বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য হুমকি। এর ফলে আন্তর্জাতিক আইনের বদলে ‘জঙ্গলের আইন’ প্রতিষ্ঠার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের পর থেকে পশ্চিম তীর এলাকা দখল করে ইসরায়েল বসতি স্থাপন করছে। দিন দিন এই বসতি বড় হচ্ছে। এ নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছে ফিলিস্তিন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের।
২০০৪ সালে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত ঘোষণা দিয়েছিলেন, পূর্ব জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের দখল হওয়া ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।