চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ইরান-বাংলাদেশের প্রথম যৌথ-প্রযোজনায় চুক্তিবদ্ধ অনন্ত

‘দিন-দ্য ডে’র মাধ্যমে বাংলাদেশে অনন্তর পজিটিভ ইমেজ তৈরি হবে?

বহুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিলো ইরানের সাথে যৌথ প্রযোজনায় সিনেমা নির্মাণ করবেন দেশের আলোচিত চিত্রনায়ক ও প্রযোজক অনন্ত জলিল। ছবির নামও ঘোষণা হয়েছিলো। আর এবার কাগজে পত্রে ইরানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হলেন দেশের এই চিত্রনায়ক ও প্রযোজক।

এমন খবরই ইরান থেকে চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন নির্মিতব্য ছবিটির ইরানি অংশের পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজমের উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুমিত আল রশিদ।

রবিবার দুপুরে চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি জানান, ইরান-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত প্রথম সিনেমা ‘দিন- দ্য ডে’র সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশের অনন্ত জলিল। ১৮ অক্টোবর তেহরানে ছবিটির চুক্তি স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এরপর অনন্ত জলিল বাংলাদেশে ফিরে গেছেন। তবে ছবিটির প্রি-প্রোডাকশন নিয়ে তুমুল ব্যস্ত আছেন ইরানি নির্মাতা মুর্তজা অতাশ।

আগামি ডিসেম্বর থেকে শুটিং শুরু হবে জানিয়ে মুর্তজা অতাশ জমজমের উপদেষ্টা আরো জানান, খুব শিগগির আমরা ঢাকায় একটি প্রেস কনফারেন্স করে ছবিটি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দিবো। সব কিছু ঠিক থাকলে ডিসেম্বরে শুটিং শুরুর পরিকল্পনা আছে। ইরান থেকে ইরানের পরিচালক, অভিনেতা অভিনেত্রী, লেবাননের অভিনেতা অভিনেত্রী এবং সিরিয়ার অভিনেতা অভিনেত্রীদের নিয়ে ঢাকার একটি হোটেলে বাংলাদেশের সাংবাদিক ভাইদের নিয়ে বসবো। পরবর্তীতে ইরানেও আমরা ‘দিন-দ্য ডে’র
শুভ মহরত করবো।

ছবির শুটিং হবে বাংলাদেশ, ইরান, সিরিয়া ও লেবাননে। ছবিতে দেখানো হবে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জঙ্গীগোষ্টি কীভাবে বিশ্বের মুসলিম তরুণদের বিপথগামী করেছে। মূলত বিপথগামী মানুষদের ফিরিয়ে আনতেই ‘দিন-দ্য ডে’র চিত্রনাট্য তৈরি হচ্ছে বলে জানান মুমিত।

ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যাবে অনন্ত জলিলকে। এই ছবির মাধ্যমে বাংলাদেশে অনন্তর ইতিবাচক ইমেজ তৈরি হবে বলেও জানান ইরানি নির্মাতার এই উপদেষ্টা। ছবিতে অনন্তর বিপরীতে দেখা যাবে চিত্রনায়িকা বর্ষাকে।

এখন পর্যন্ত চল্লিশটির মতো চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন মুর্তজা অতাশ। এরমধ্যে জনপ্রিয় সিনেমা ‘মালিখুলিয়া’ ও ‘সিমিন’ উল্লেখযোগ্য। চিলড্রেন এন্ড ইয়্যুথ ফিল্ম ফেস্টিভালে পুরস্কৃতও হয়েছে ‘সিমিন’। এছাড়া সম্প্রতি বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি নির্মাণ করে আন্তর্জাতিক ভাবে বেশ প্রশংস কুড়িয়েছেন এই নির্মাতা। ত্রিশ মিনিট ব্যাপ্তীর এই ডকুমেন্টারি বাংলায় অনুবাদ করেছেন মুমিত আল রশিদ। যা গেল ফজর ইন্টারনেশনাল ফিল্ম ফেস্টিভালে প্রদর্শীত হয়েছে। যা সব শ্রেণির দর্শকের কাছে প্রশংসাও পেয়েছে। ‘বোদ্ধাস শেম’ নামের এই ডকুমেন্টারি ফজর ফিল্ম ফেস্টিভাল এছাড়া রোম ফেস্টিভাল, আমস্টারডাম ফিল্ম ফেস্টিভালে মনোনয়ন পেয়েছে।