ইরাকের রাজধানী বাগদাদে একটি ফুটবল স্টেডিয়াম গড়ার প্রস্তাব দিয়েছেন সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এক সঙ্গে ১ লাখ ৩৫ হাজার দর্শক স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে পারবেন।
সৌদি আরব এবং ইরাকের মধ্যে সম্প্রতি বসরাতে একটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচ হয়েছিল। তাতে সৌদি আরব ৪-১ গোলে পরাজিত হয়। এরপরই সৌদির যুবরাজ সালমান জয়ের পুরস্কার হিসাবে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার অল-আবাদিকে ফোন করে এই উপহারের কথা ঘোষণা করেন।
১৯৯০ সালে কুয়েত দখল করে নেয় ইরাকের সেনা। প্রতিবেশি দেশ সৌদি আরব এবং ইরাকের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমানার ভাগভাগি আছে কুয়েতের। ইরাকের কুয়েত আক্রমণের পর থেকেই সৌদির সঙ্গে ইরাকেরও সম্পর্কের অবনতি হয়। পাশাপাশি তখন থেকেই ইরাকে আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ নিষিদ্ধ করে দেয় ফিফা।
সৌদি আরব এবং ইরাকের মধ্যে ফ্রেন্ডলি ম্যাচ দেখার পরই ইরাকের পরিস্থিতি বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক ম্যাচের সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে ফিফা।
ইরাকের কারবালা, বসরা এবং এরবিল-এই তিন শহরে আপাতত ইরাককে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের আয়োজন করার অনুমতি দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বর্তমানে ইরাকের সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়াম রয়েছে বসরা স্পোর্টস সিটিতে। এটার ধারণক্ষমতা ৬৫ হাজার। সৌদির ঘোষিত স্টেডিয়াম এর দ্বিগুণ ক্ষমতাসম্পন্ন হবে।
এখনও বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়াম নর্থ কোরিয়ার পিয়ংইয়ংয়ে রয়েছে। নাম রুঙ্গাডো মে স্টেডিয়াম। যে স্টেডিয়ামে ১ লাখ ১৪ হাজার দর্শক বসে খেলা দেখতে পারেন।