অমিত সম্ভাবনা নিয়ে ঢুকেছিলেন ভারতীয় জাতীয় দলে। গতির সঙ্গে সুইংয়ে ছিলেন দক্ষ। কপিল দেবের অভাব পূরণের সব যোগ্যতা তার ভেতর খুঁজে পায় ভারতীয়রা। দেখতে দেখতে হয়ে ওঠেন পেস অলরাউন্ডার। এক সময় টপ অর্ডারে ব্যাটও করেন। সেই ইরফান পাঠান ক্রিকেট থেকে শেষ কয়েক বছরে যেন উবে গেছেন।
পাঠান এখন ব্যস্ত আছেন নিজের ক্রিকেট একাডেমি নিয়ে। পাঞ্জাবে শুক্রবার নিজের একটি একাডেমি উদ্বোধন করেন। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানান, এখনো তিনি জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখেন।
পাঠানের বয়স এখন ৩৩। ভারতীয় দলে এই বয়সে অনেকেরই ফিরে আসার নজির আছে। পেসার আশিস নেহেরাসহ আরও কয়েকজন ৩৬/৩৭ বছর বয়সে জাতীয় দলে খেলেছেন।
ভারতীয় দলে পাঠানের অভিষেক হয় ১৯ বছর বয়সে। ২০১২ সালের পর ভয়াবহ অফ ফর্মের কারণে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন। গেল বছর আইপিএলেও খেলা হয়নি। অথচ তার ভাই ইউসুফ পাঠান দল পেয়ে যান।
পাঠান সর্বশেষ মাঠে নামেন ঘরোয়া লিগ রঞ্জি ট্রফিতে। সেটা ২০১৭ সালে। পরে ওই দল থেকেও বাদ পড়েন।
ক্যারিয়ার নিয়ে কী ভাবছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাব দিতে গেয়ে আশাবাদী হয়ে ওঠেন ইরফান। একাডেমি উদ্বোধনের সময় বলেন, ‘জাতীয় দলে ফিরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। নিজেকে ফিট রাখতে নিয়মিত অনুশীলন করছি।’
তরুণদের উদ্দেশ্যে পাঠান বলেন, ‘ক্রিকেটে সাফল্য পেতে হলে প্রতিদিন ৫/৬ ঘণ্টা অনুশীলন করতে হবে। অন্য কাজের মতো ক্রিকেটকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে।’