বিসিবি আয়োজিত লাল ও সবুজ দলের চারদিনের ম্যাচ খেলতে খুলনায় ছিলেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার এবং ইমরুল কায়েস। এমন সময় ডাক পান এশিয়া কাপের দলে। হঠাৎ জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে দুবাই যাওয়ার আগে ইমরুল জানালেন, বেশ অবাক তিনি। আর তার সহযাত্রী সৌম্যের ভাবনায় নকআউট পর্বে আফগানিস্তান-পাকিস্তান ম্যাচ।
শনিবার সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সে উড়াল দিয়েছেন সৌম্য ও ইমরুল। এর আগে আনুষ্ঠানিকতা সারতে দুজনেই এসেছিলেন বিসিবি ভবনে। তখনই মুখোমুখি হন সংবাদমাধ্যমের।
এশিয়া কাপের দ্বিতীয়পর্ব চলাকালীন সময়ে হঠাত করেই দেশ থেকে ডেকে পাঠানো হয় সৌম্য-ইমরুলকে। নিয়মিত ওপেনার তামিম ইকবাল আঙুলে চোট পেয়ে দেশে ফেরায় তার শূন্যস্থান পূরণে একজনকে দলে ভেড়ানো যেত। কিন্তু তা না করে একইসঙ্গে দুজন ওপেনারকে কেন দলে ডেকে পাঠানো তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। তাহলে কী দলে যারা আছেন তাদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন নির্বাচকরা? এমন প্রশ্ন নিয়েও সরগরম ক্রিকেটাঙ্গন।
ইমরুল নিজেও বিস্মিত। এমনভাবে দলে ডাক পাবেন সেটা নাকি তার কল্পনাতেও ছিল না, ‘আসলেই এটা অবাক করার মতো ব্যাপার । আপনারা সবাই জানেন আমি খুলনায় ছিলাম চারদিনের ম্যাচ খেলতে। চিন্তাই করিনি এশিয়া কাপের মতো একটা টুর্নামেন্টে এমনভাবে সুযোগ পেয়ে যাব। এমন একটা টুর্নামেন্টে খেলতে পারা অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার। দুই ম্যাচ যদি খেলতে পারি চেষ্টা করবো নিজের সেরাটা দেয়ার।’
অবাক হয়েছেন সৌম্যও। বাঁ-হাতি ওপেনারের সামনে চ্যালেঞ্জ মাঠে নেমেই দ্রুত দলের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার, ‘চ্যালেঞ্জ তো সবসময়ের জন্যই। এক পরিবেশে যাচ্ছি, তাও আরেকটা সফরের মাঝখান থেকে। গিয়ে যত দ্রুত সম্ভব দলের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া। মানিয়ে নেয়া ছাড়া উপায়ও নেই।’
দ্বিতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে বড় ব্যবধানে হারের আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছেও রীতিমতো উড়ে গেছে টাইগাররা। এমন দুই হারের পর পাহাড়সমান চাপ নিয়ে বাকি দুই ম্যাচ খেলতে হবে মাশরাফী বাহিনীকে। স্বল্প সময়ের নোটিশে গিয়ে খেলতে নেমে চাপ সামলাতে পারবেন তো দুই ওপেনার?
ইমরুল বলছেন নিজের সারাজীবনের অভিজ্ঞতা ঢেলে দিতে প্রস্তুত চাপ সামলাতে, ‘আগেও ওখানে খেলেছি। চেষ্টা করবো এতদিন ক্রিকেট খেলে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি সেই অভিজ্ঞতা ঢেলে দেয়ার। নিজের সেরাটা দেয়ার।’
বাংলাদেশের সহনশীল আবহাওয়া ছেড়ে আরব আমিরাতের মরুর উত্তপ্ত আবহাওয়া। খুব দ্রুত মানিয়ে নেয়া কী সম্ভব? এ বিষয়ে অবশ্য নিজের কোনো দায় দেখছেন না সৌম্য। তার চোখে শেষ দুটি ম্যাচের প্রতিটিই এখন নকআউট ম্যাচ, ‘দেখুন আবহাওয়ার বিষয়টি তো আমার হাতে নেই। এ বিষয়ে চিন্তা করলেই আমার উপর বাড়তি চাপ তৈরি হবে।’
‘একটা টুর্নামেন্টে যখন নকআউট পর্ব থাকে তখন ব্যাপারটা হলো হারলেই বাদ। আমাদেরও ধরে নিতে হবে যে হারলেই বাদ। আমাদের সেভাবেই এগোতে হবে। একটা একটা করে ম্যাচ আগাতে হবে। ধরে নিতে হবে আমরা এখন কোয়ার্টারফাইনালে। সেমিফাইনালের জন্য এগোতে হবে।’