জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৪৪ রানের ইনিংস খেলা ইমরুল কায়েস নিজের সেরার তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে রাখলেন গত এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা ৭২ রানের অপরাজিত ইনিংসটিকেই। অবাক করার মতো ব্যাপার হলেও এমন উপলব্ধির পেছনে আছে ইমরুলের ব্যাখ্যাও।
‘এটা আমার ক্যারিয়ারের ভালো একটা ইনিংস হিসেবে রাখব। তবে আফগানিস্তানেরটা অনেক স্পেশাল ছিল আমার কাছে। এশিয়া কাপে হঠাৎ করে গিয়ে খেলেছি, চ্যালেঞ্জ ছিল এবং ভালো খেলেছিলাম। ওটাকে আমি সবচেয়ে এগিয়ে রাখব। কিন্তু এই ইনিংসটা অনেক ভালো খেলেছি। দরকার ছিল, টার্নিং পয়েন্ট ছিল। নিজে ভালো খেললে দল উপকৃত হয়। আজকের ইনিংসটার জন্য হয়তো বাংলাদেশ টিম জিততে পেরেছে।’
ব্যাটসম্যান ইমরুলের বদলে যাওয়ার পেছনেও নাকি এশিয়া কাপের ওই ইনিংসটি ভূমিকা রেখেছে। যেখান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই ওপেনিংয়ে নেমে খেলেছেন ১৪০ বলে ১৪৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।
‘আফগানিস্তানের সঙ্গে ম্যাচটায় ক্যারিয়ারে অনেককিছু শিখেছি। আমি কী করতে পারি, আর কী পারি না। ওই ইনিংস থেকে অনেককিছু শিখেছি। আজকে যখন ব্যাটিং করছিলাম, ওই ইনিংসটার কথা স্মরণ করছিলাম। কঠিন পরিস্থিতিতে (এশিয়া কাপ) যদি ভালোকিছু করতে পারি, নিঃসন্দেহে আমি ভালোকিছু করতে পারবো।’
ওপেনার হিসেবেই জাতীয় দলে আসেন ইমরুল কায়েস। টিম কম্বিনেশনের কারণে এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে তিনে ব্যাট করতে হয়েছে বহুবার। সেটি নিয়ে অনুযোগ থাকলেও মেনে নিয়েছেন দলের সিদ্ধান্ত।
গত এশিয়া কাপে ব্যাট করতে হয়েছে ৬ নম্বরেও। সেখানেই করেছেন ম্যাচজয়ী এক ফিফটি। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে হারানো জায়গা ফিরে পেয়ে ইমরুল মনে করিয়ে দিলেন তিনি নিখাদ ওপেনারই।
সামনের সময়েও ওপেনিংয়ে সুযোগ চান কিনা- এমন প্রশ্নে ইমরুল বল রাখলেন টিম ম্যানেজমেন্টের কোর্টেই, ‘সবকিছু নির্ভর করে টিম ম্যানেজমেন্টের উপরে। ম্যানেজমেন্ট যদি মনে করে, কোনো পরিস্থিতিতে আমার চেয়ে অন্য কাউকে সুযোগ দেবে, এটা তাদের ব্যাপার। আমার এটা নিয়ে অত চিন্তা নেই।’