দেশের আলোচিত ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালি’র স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ইভ্যালি’র একজন গ্রাহক ফরহাদ হোসেনের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই আদেশ দেয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার এ এম মাসুম ও ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসেন।
আদেশের পর আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইভ্যালি অনলাইন শপ থেকে গত মে মাসে একটি ইলেকট্রনিকস পন্যের অর্ডার করেন এবং অর্থ পরিশোধ করেন গ্রাহক ফরহাদ হোসেন। এরপর কোম্পানিটি অনলাইনে তাকে পন্যটি কেনার একটি রশিদও দেয়। কিন্তু এতদিনেও পন্যটি বুঝিয়ে না দেয়ায় যোগাযোগ করা হলে তাকে বার বার আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পন্যটি না পেয়ে এবং টাকা ফেরত না পেয়ে ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বিক্রি অথবা ট্রান্সফার না করতে নির্দেশ দেন এবং নোটিশ ইস্যু করেন যে, কেন ইভ্যালিকে অবসায়ন করা হবে না। আর এবিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করে এই সময়ের মধ্যে বিবাদীদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।’
হাইকোর্টে গ্রাহক ফরহাদের করা আবেদনে ইভ্যালি লিমিটেড, রেজিস্ট্রার জয়েন্ট স্টক কোম্পানীজ এন্ড ফার্মস,বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট, কনজুমার রাইটস প্রটেকশন ব্যুরো, নগদ, বিকাশ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, ই-ক্যাব এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বেসিস,বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।