দীর্ঘদিন সাপ-লুডো খেলা চলার পর ফয়সালা হয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের। টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা ঘরে তুলেছে ম্যানচেস্টার সিটি। বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবল লিগ ইপিএলকে ইংলিশ ফুটবলের আকাশ ধরা হলে এবার সেই আকাশের জ্বলজ্বলে তারা তিন আফ্রিকান। শিরোপা না জিতলেও সোনার বুট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন তিনজনে।
মোহামেদ সালাহ, সাদিও মানে এবং পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং- এই তিনজনই সদ্যগত মৌসুমে সর্বোচ্চ ২২টি করে গোল করেছেন।
২২ গোল নিয়ে সবার উপরে ছিলেন লিভারপুলের মিশরীয় তারকা সালাহ। কিন্তু ইনজুরির কারণে শেষ দুই ম্যাচ খেলতে পারেননি। ফাঁকে তাকে ধরে ফেলেন তার মহাদেশীয় দুই ফুটবলার। ইপিএলের শেষ ম্যাচে জোড়া গোল করেন সালাহ’র লিভারপুল সতীর্থ মানে ও আর্সেনালের অবামেয়াং। ২১ গোল নিয়ে এরপরই আছেন চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটির আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার সার্জিও আগুয়েরো।
এবার নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ইপিএলে সোনার বুট জিতলেন সালাহ। গত বছরও এ বুট নিজের ঘরে নিয়েছিলেন ‘মিশরীয় সুপারস্টার’। তবে ২০১০/১১ মৌসুমের পর এবারই সবচেয়ে কম গোল করে সোনার বুট জিতলেন কোনো ফুটবলার। ওই মৌসুমে ২০টি করে গোল নিয়ে সোনার বুট জিতেছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বুলগেরিয়ান তারকা দিমিত্রা বার্বাতোভ ও আর্জেন্টিনার কার্লোস তেভেজ।
আফ্রিকান তিন তারকার একজন হিসেবে এই পুরস্কার জেতার পর উচ্ছ্বাসে ভাসছেন অবামেয়াং। বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমি এই ট্রফিটি অন্য এমন দুইজন গ্রেট খেলোয়াড়ের সঙ্গে ভাগাভাগি করছি, যাদের পছন্দ করি এবং তারা আফ্রিকান। আমরা আফ্রিকা প্রতিনিধিত্ব করছি, এটা ভেবেই মন জুড়িয়ে যাচ্ছে। এটা জিতে আমি খুবই খুশি।’
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর শিরোপা জিততে না পেরে একটু হলেও হতাশ লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। তার সেই হতাশা কিছুটা হলেও মুছে দিয়েছেন দলের দুই ফুটবলার সালাহ ও মানে। ক্লপ গর্বিত তৃতীয়জনের জন্যও। কারণ, ২০১৩ সালে জার্মান ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে তার অধীনেই যে খেলেছেন সোনার বুট জেতা আজকের আর্সেনাল তারকা অবামেয়াং।
গত বছর ৩৮ ম্যাচে প্রিমিয়ার লিগের রেকর্ড ৩২ গোল করেছিলেন সালাহ। এবার করলেন ২২ গোল। ইপিএল ইতিহাসে ষষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে টানা দুইবার সোনার বুট জেতা ফুটবলার ‘মিশরীয় মেসি’।