গত বুধবার ইতিহাদ স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে অন্যতম সেরা দ্বৈরথ উপহার দেয়া ম্যানচেস্টার সিটি ও টটেনহ্যাম হটস্পার আবার মুখোমুখি। সিটির জন্য শিরোপার পথে এগিয়ে যাওয়া আর স্পারদের জন্য টেবিলের সেরা চারে থাকা—এমন সমীকরণে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই ইতিহাদে এবারও কি দেখা মিলবে রোমাঞ্চকর এক ফুটবল দ্বৈরথের?
আর পাঁচটি ম্যাচ জিতলেই এক দশকের মধ্যে প্রথম দল হিসেবে টানা দ্বিতীয়বার প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা ধরে রাখতে সমর্থ হবে ম্যানসিটি। যদিও তাদের জন্য কাজটি কঠিন করে তুলেছে লিভারপুল। ইয়ুর্গেন ক্লপের দল দুই পয়েন্টে এগিয়ে, যদিও অল রেডরা সিটির চেয়ে একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে।
লিভারপুলের বাকি চার ম্যাচ। বলাবাহুল্য, চারটি ম্যাচেই অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষ তাদের। ক্লপের দল খেলবে কার্ডিফ সিটি, হাডার্সফিল্ড, নিউক্যাসল ও উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে। অন্যদিকে সিটিকে খেলতে হবে টটেনহাম, ম্যানইউ, বার্নলে, লেস্টার ও ব্রাইটনের সঙ্গে।
একটি সময় ‘কোয়াড্রপল’ বা চার শিরোপার স্বপ্ন দেখছিল ম্যানসিটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হেরে যাওয়ার পরও তাদের সামনে ‘ট্রেবল’ জয়ের সুযোগ রয়েছে। তবে লিগ জেতা কঠিনই।
সিটির সমৃদ্ধ রিজার্ভ বেঞ্চ ইউরোপে কাজে আসেনি ঠিক, তবে এটা লিগে ব্যবধান গড়ে দিতে পারে। ফার্নান্দিনহো, লেরয় সানে, রিয়াদ মাহরেজ, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, নিকোলাস ওটামেন্ডি কিংবা জন স্টোনসকে বসিয়ে রাখার বিলাসিতা সিটির মতো খুব কম দলই দেখাতে পারে।
অন্যদিকে টটেনহ্যামস্ট্রাইকার সংকটে ভুগছে। দলসেরা স্ট্রাইকার হ্যারি কেন ইনজুরিতে। ইতিহাদে বুধবারের ম্যাচে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন মিডফিল্ডার মুসা সিসোকো।
স্পার্সরা এদিন যদি টানা পঞ্চমবারের মতো অ্যাওয়ে ম্যাচে হেরে যায়, তবে তারা পরেরদিনই ছিটকে পড়বে শীর্ষ চার অবস্থান থেকে। ৩৩ ম্যাচে টটেনহামের পয়েন্ট ৬৭, সমান ম্যাচে আর্সেনালের ৬৬। আর টটেনহ্যাম হারলে রোববার ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে জিতে তৃতীয় স্থানে উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে আর্সেনানের। ৩৪ ম্যাচে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে থাকা চেলসিও সোমবার বার্নলেকে হারিয়ে উঠে যেতে পারে চতুর্থ স্থানে। তখন স্পারদের জায়গা হবে পাঁচে। ৩৪ ম্যাচে ৮৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল, ৩৩ ম্যাচে সিটির পয়েন্ট ৮৩।