সুপার টাইফুন রাইয়ের আঘাতে ফিলিপাইনে ৩০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অসংখ্য মানুষ। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ৩১ জনের মৃত্যর খবর নিশ্চিত করেছে।
বিবিসির অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্প্রতিবার শক্তিশালী ঝড় ‘রাই’ দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের দ্বীপে ঘণ্টায় প্রায় ১৯৫ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়ে। এতে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে অঞ্চলটি। উড়ে গেছে ঘড়বাড়ি, উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। কয়েক লাখ মানুষ বিদ্যুতবিহীন হয়ে পড়েছে। বিধ্বস্ত অঞ্চলে উদ্ধার তৎপরতা চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
ক্ষতিগ্রস্ত সিয়ারগাও দ্বীপের গর্ভনর বলেছেন, ঝড়ে দ্বীপটি পুরোপুরিভাবে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত দ্বীপটির পুনঃসংস্কারে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
পাশ্ববর্তী ডিনাগাট দ্বীপের গর্ভনর আরলেন বাগ আও বলেন, অঞ্চলটি পুরোপুরি মাটির সাথে মিশে গিয়েছে। আমাদের কৃষকদের ফসলী মাঠ, মাছের ঘের, নৌকা সব ধ্বংস হয়ে গেছে বলে তিনি একটি ফেসবুক বার্তা প্রকাশ করেন।
স্থানীয় সংবাদপত্র র্যাপলারের বরাত দিয়ে বিষয়টি জানায় বিবিসি। এ সময় আরলেন বাগ এলাকাটির মানুষের জন্য খাবার ও পানযোগ্য পানি সহ অন্যান্য সহায়তার আবেদন জানান।
প্রতি বছর গড়ে ২০টি ঝড় আঘাত হানে ইন্দোনেশিয়ায়। এ ঝড়টি এমন সময় আঘাত হানলো যখন পুরো দেশ ক্রিসমাসের প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত। এ বছরে ঝড় গুলোর মধ্যে টাইফুন রাই কে সবচেয়ে শক্তিশালী বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
ফিলিপাইনে গ্রিনপিচের পক্ষ থেকে সতর্ক কওে বলা হয়েছে জলবায়ু সংকট প্রকটতর হবার কারণে পরবর্তী টাইফুনগুলো আরো বেশি মারাত্মক ও প্রাণঘাতী হবে।
এর আগে ২০১৩ সালের সুপার টাইফুন হাইয়ান এর আঘাতে ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল।