ইন্টারনেট ভিত্তিক জুয়ার সকল ওয়েবসাইট বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সচিব, আইন সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা -বিটিআরসি’র চেয়ারম্যানকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল ইসলাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
গত ১৬ জানুয়ারি ‘ভারতীয় জুয়ারির জেল, শীর্ষক শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ২১ জানুয়ারি পিরোজপুর ফাউন্ডেশনের পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করা হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজকে উদ্বৃত করে গত ১৬ জানুয়ারি দেশের একটি দৈনিক সে খবর প্রকাশ করে। ওই খবরে বলা হয়, বিপিএলে জুয়া বন্ধে তৎপর প্রশাসন। ফের এর প্রমাণ পাওয়া গেল। সিলেট স্টেডিয়ামে খেলা চলাকালীন বেটিং করা অবস্থায় এক ভারতীয় জুয়াড়িকে গ্রেপ্তার করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুধু এখানেই ক্ষান্ত হননি তারা। তাকে এক মাসের জেলও দিয়েছেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মউনুল হোসাইনের বরাত দিয়ে ওই খবরে আরও বলা হয়, ‘দণ্ডপ্রাপ্ত জুয়াড়ির নাম ইমরান পাশা। সে অবৈধ বেটিং করছিল। ভারতে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করছিল। প্রমাণাদি হাতে পাওয়ার পর আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি। পরে শাস্তি দিয়েছি। ও ভারতীয় নাগরিক।
মোহাম্মদ মউনুল হোসাইন বলেন, ইমরান পাশা বিপিএলে বেটিং করে যাচ্ছিল। আমরা তার সঙ্গে কোনো পাসপোর্ট পাইনি। ও বাংলা-হিন্দি ভাষায় পারদর্শী। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সে স্বীকার করেছে।
ইমরান ভারতের বিহার রাজ্য থেকে বাংলাদেশে এসেছে। এর আগে বিপিএলের ঢাকা পর্বে ১৫ জন দেশি-বিদেশি জুয়াড়িকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে শাস্তিস্বরূপ পাঁচ জুয়াড়িকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে। অন্যদেরও জরিমানার আওতায় আনা হয়।’