স্মার্ট ফোনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে সবজি চাষ করছেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নারীরা। সম্পূর্ণ বিষমুক্ত পদ্ধতিতে সবিজ চাষ করে পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি তারা আয় করছেন বাড়তি অর্থও।
লবণাক্ততার কারণে একসময় সবজি চাষ করতে পারতেন না এ অঞ্চলের কৃষক। পড়ে থাকতো বেশির ভাগ জমি। অস্ট্রেলিয়ার মোনাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে, অক্সফাম বাংলাদেশের সহযোগিতায় বেসরকারি একটি উন্নয়ন সংস্থা সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলায় কৃষি উন্নয়নে কাজ শুরু করে।
তারা আটুলিয়া ইউনিয়নের বড়কুপট গ্রামের একশ’ পরিবারের নারী সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়ে স্মার্ট ফোনে তথ্যপ্রাপ্তির জন্য কমিউনিটিভিত্তিক নারীদের কৃষি সার্ভিস সেন্টার গড়ে তোলেন।
টাওয়ার বা থ্রিডি পদ্ধতি, বস্তাপদ্ধতি, দেড় ফুট মাটির নীচে পলিথিন বিছিয়ে জৈব সার দিয়ে সবজি চাষ, লবণ পানির এলাকায় মাটিতে গর্ত করে পলিথিন ও ত্রিপল বিছিয়ে মিষ্টি পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে সবজি চাষ করছেন এ অঞ্চলের নারীরা।
সবজি ক্ষেতে বা গাছে ছত্রাকের আক্রমণ হলে বা পোকা দেখা দিলে স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে গুগল অ্যাপসের কল সেন্টার থেকে তথ্য নিয়ে তা চাষাবাদের কাজে লাগানো হচ্ছে।
বাগদা রেনু বহনকারি কর্কশিটে জৈব সার ও মাটি ভরাট করে সবজি চাষ শুরু করেছেন গ্রামের মহিলারা।
আরও দেখুন সাতক্ষীরা থেকে আবুল কালাম আজাদের পাঠানো তথ্য ও ভিডিও চিত্র নিয়ে সুদীপ্তা মাহমুদের রিপোর্টে: