বহুল আলোচিত দিন-রাতের টেস্টের শুরু থেকেই কোণঠাসা বাংলাদেশ। সবার চেষ্টায় প্রথম ইনিংসে কোনো রকমে সেঞ্চুরি ছোঁয়া দলটা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে নেমেছে ২৪১ রানে পিছিয়ে থেকে। ভারতের ইনিংস ঘোষণা সঙ্গে সঙ্গেই সবার চোখের সামনে ভেসেছে একটাই প্রশ্ন, ইনিংস হার এড়াতে পারবে বাংলাদেশ?
প্রথম টেস্টের হিসাব যদি ধরা যায়, তাহলে এই টেস্টেও ইনিংস হার হয়তো নিশ্চিত! ইন্দোর টেস্টে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ১৫০ রানে। জবাবে ভারত ৬ উইকেটে ৪৯৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতা জারি রেখে দ্বিতীয় ইনিংসে ২১৩ রানে গুটিয়ে বাংলাদেশ হারে এক ইনিংস ও ১৩০ রানে।
ইন্দোর টেস্টে ইডেন টেস্টের প্রথম ইনিংসের চেয়ে রান ছিল একশ’ও বেশি। তবে এখানে খেলা হচ্ছে গোলাপি বলে। যে বলের সঙ্গে কোনোভাবেই নিজেদের মেলাতে পারছেন না মুশফিক-মুমিনুলরা। বোলাররা যেটুকু খাপ খেয়েছেন বা খাওয়ার চেষ্টা করেছেন তাতে বাঁহাত ঢুকিয়ে পণ্ড করেছেন বিরাট কোহলি। তার সেঞ্চুরিতে অলআউট হওয়ার আগে ৯ উইকেটে ৩৪৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত।
গোলাপি বলের বড় সমস্যা শুরুতে সুইং থাকে অনেক বেশি। প্রথম এক বা দুই ঘণ্টা ধরে খেলতে হয় ব্যাটসম্যানদের। ভারতের ওপেনাররা সেটা করতে না পারলেও তাদের মিডলঅর্ডার ঠিকই করে দেখায়। যার রাস্তাটা দেখান চেতশ্বর পূজারা (৫৫)।
পূজারার পরে কোহলি ও অজিঙ্কা রাহানে। এই তিন ব্যাটসম্যান ছাড়া ভারতের অন্য ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেবল একজনই কুড়ির ঘর স্পর্শ করতে পারেন। তবে তিনজনের মধ্যে কোহলিই বাংলাদেশের ক্ষতিটা করেছেন বেশি। তার ১৩৬ রান ব্যবধানটা বড় করে তোলে।
ভারত তাদের ইনিংসে শুরু এবং শেষটা ভালো করতে পারেনি। আর বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের পুরোটাই ছিল গোলকধাঁধায় ঠাসা। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেও একই ছবি। প্রথম ইনিংসে যিনি দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি এবং ভালো লড়েছিলেন সেই সাদমান ইসলাম ফিরে গেছেন প্রথম ওভারেই। পরে ফিরেছেন মুমিনুলও। ফলে পূজারা-কোহলি-রাহানেদের মতো বাংলাদেশের মিডলঅর্ডার কিছু একটা করতে না পারলে ইনিংস হার অবধারিত!