রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী রজার ফেদেরার ও নোভাক জোকোভিচকে পেছনে ফেলেছেন। ২১টি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের রেকর্ডে একমাত্র নাম এখন রাফায়েল নাদাল। আলোচনা উঠেছে স্প্যানিশ কিংবদন্তিই ছেলেদের ইতিহাসের সেরা টেনিস খেলোয়াড় কিনা। নাদাল অবশ্য বিষয়টিকে পাত্তা দিচ্ছেন না।
সুইস কিংবদন্তি ফেদেরার চোটের কারণে মেলবোর্নে অনুপস্থিত ছিলেন। করোনার টিকা গ্রহণ না করায় আসর শুরুর আগে আইনি লড়াইয়ের পর অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে বাধ্য হন জোকোভিচ।
দুই মহাতারকার অনুপস্থিতির মঞ্চে নাদালের পথটা সহজ ছিল না। ৩৫ বছর বয়সী স্প্যানিয়ার্ড মেলবোর্নে রোববারের ফাইনাল জিতেছেন ৫ ঘণ্টা ২৪ মিনিটের লড়াইয়ে। দ্বিতীয় বাছাই রাশিয়ান ড্যানিল মেদভেদেভকে হারিয়েছেন। দুই সেট হেরে পিছিয়ে পড়েছিলেন, তারপর প্রত্যাবর্তন।
নাদাল পরে জয়ের রেশ ধরে বলেছেন, ‘আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় প্রত্যাবর্তন।’
সোমবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন নাদাল। বলেন, ‘আমি জানি ২১, এটি একটি বিশেষ সংখ্যা। সম্মানিত বোধ করছি। আমার টেনিস ক্যারিয়ারে আরও একটি বিশেষ কিছু অর্জন করতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।’
ইতিহাসের সেরা পুরুষ টেনিস খেলোয়াড়ের আলোচনা নিয়ে স্প্যানিশ তারকার ভাষ্য, ‘আমি ইতিহাসের একজন কিনা সত্যি বলতে খুব একটা পাত্তা দেই না। আসলেই আমি পাত্তা দেই না। আজকে এটা আমার জন্য গতরাতের মতো উপভোগেরই ব্যাপার।’
প্রথম দুই সেটে হেরেও দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে ১৩ বছর পর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতা নাদালের কাছে রোববার ছিল আবেগঘন রাত। পায়ের চোট কাটিয়ে কোর্টে ফিরে এমন অর্জনের তাৎপর্য আরও বাড়িয়েছে তিনি।
‘গত ছয়মাস ধরে কোর্টে ফিরে আসার জন্য অনেক লড়াই করেছি। খুব, খুব কঠিন মুহূর্ত ছিল। কারণ জানতাম না ফিরে আসার সুযোগ পাবো কিনা। দর্শকদের সমর্থন ছিল। পুরো ম্যাচে খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম।’
‘যদিও খুব ক্লান্ত ছিলাম, তাদের সাথে যথারীতি উদযাপন করতে পারিনি। তবে আমি এটি অনুভব করি, পুরো ম্যাচে সমস্ত সমর্থন আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। সত্যিই আমি শারীরিকভাবে ক্লান্ত এবং বিধ্বস্ত।’