সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ৩০০ তাড়া করে জিতেছে, এমন ইতিহাস নেই। সেখানে জিততে কেবল একদিনেই করতে হবে ৩০৯! সেটিও পঞ্চম দিনে। হাতে অক্ষত ৮ উইকেট নিয়ে সিরিজে লিড নিতে কঠিন এই পথই পাড়ি দিতে হবে ভারতকে।
১৯৭ রানের লিডের সঙ্গে আরও ২৯৯ যোগ করে ভারতের সামনে ৪০৭ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শেষদিনে খেলা জমানোর আভাস দিয়ে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ৯৮ রানে রাত্রি বিরতিতে গেছে সফরকারীরা।
আসলে ৮ উইকেট বলা হলেও বাস্তবিক অর্থে ভারতের আছে ৬ উইকেট। চোটে পড়ে আছেন উইকেটরক্ষক রিশভ পান্ট ও অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা। চতুর্থ দিনে জাদেজাকে বোলিং ও পান্টকে উইকেটের পেছনে দাঁড়াতে দেখা যায়নি। দুজনের ব্যাটিংয়ে নামার সম্ভাবনাও কম।
বাকি ফিট ছয় উইকেট নিয়ে ইতিহাস গড়ার লড়াইয়ে নামতে হবে ভারতকে। আগেরটা আবার শতবর্ষ পুরনো। সবশেষ ১৯০৩ সালে সিডনিতে ইংল্যান্ড জিতেছিল ৫ উইকেটে ১৯৪ করে। এপর্যন্ত সফরকারী দলের জেতার ইতিহাস সেটাই।
২ উইকেটে ১০৩ রান নিয়ে দিন শুরু করা অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ৬ উইকেটে ৩১২ তুলে। আগেরদিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মার্নাস লাবুশেন ও স্টিভেন স্মিথ যতক্ষণে ফিরেছেন, লিড ৩০০ ও দলীয় দুইশো ছাড়িয়ে যায় স্বাগতিকরা।
১১৮ বলে নবদ্বীপ সাইনির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ৭৩ রান করে ফিরে যান লাবুশেন। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে স্টিভেন স্মিথ আউট হয়েছেন ৮১ করে। ১৬৭ বল খেলা ব্যাটসম্যানকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
অস্ট্রেলিয়ার লিড চারশো পার করেছে অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিন ও টিম পেইনের ১০৪ রানের জুটি। টেস্টে প্রথম ফিফটি পেয়ে সেঞ্চুরি হাতছাড়া করা গ্রিন ৮৪ রানে আউট হতেই ইনিংস ঘোষণা করেন ৩৯ রান করা অজি অধিনায়ক পেইন। ৪ ছক্কা ও ৮ চারে ১৩২ বলে উইকেটের পেছনে ঋদ্ধিমান সাহার ক্যাচ হন গ্রিন। বোলার ছিলেন বুমরাহ।
বিশাল রান তাড়ায় শেষ সেশনে ভালোই ব্যাট করছিলেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমন গিল। দুজনের ৭১ রানে জুটি ভাঙে ৩১ রানে হ্যাজেলউডের শিকার হয়ে গিল ফিরলে।
গিল ফিরলেও ফিফটি তুলে নেন রোহিত। দিন শেষ হওয়ার তিন ওভার আগে তাকে ফেরান প্যাট কামিন্স। ৯৮ বলে ৫২ রানে আউট হয়েছেন সহ-অধিনায়ক। চেতেশ্বর পূজারা ৯ ও আজিঙ্কা রাহানে ৪ রানে শুরু করবেন শেষদিনের লড়াই।