চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ইতালির হার ছিল দুঃস্বপ্ন!

‘এটা ব্যখ্যা করা ভীষণ কঠিন! একটি দুঃস্বপ্ন ছিল। লকার রুমের চারপাশে তাকিয়ে আমাদের খেলোয়াড়রা টুর্নামেন্টের জন্য চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত ছিল। তবুও এখানে আমরা একটি বিপর্যয়ের কথা বলছি। শীর্ষ থেকে শূন্যে পতন হওয়াটা আসলেই কঠিন।’

র‍্যাঙ্কিংয়ের ৬০ ধাপ নিচের দল নর্থ মেসিডোনিয়ার কাছে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে হেরে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে উঠে না পেরে এভাবেই হতাশা প্রকাশ করেন ইতালিয়ান মিডফিল্ডার মার্কো ভেরাত্তি।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্লে-অফের সেমিফাইনালে ৯৬০ সালের পর ঘরের মাঠে তাদের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে হারের তিক্ত স্বাদ পেল আজ্জুরিরা। এমন দুঃস্বপ্নের রাত নেমে আসাটা কিছুতেই মানতে পারছেন এ ভেরাত্তি।

‘আমরা একসাথে বিশেষ সময় অনুভব করেছি এবং আমি সবসময় আমার সতীর্থদের নিয়ে গর্বিত থাকব। এটা ফুটবল যেখানে আপনাকে গোল করতে হবে। আমরা সেটা করতে পারিনি। তবে আমাদের যতটুকু করার ছিল তাই করেছি। যদিও সেটা যথেষ্ট ছিল না।’

‘আমাদের এখন নিজেদেরকে প্রশ্ন করতে হবে। কিছু দুর্ভাগ্য ছিল। তবে আপনাকে নিজের ভাগ্যটা গড়তেও হবে।’

নির্ধারিত সময় শেষের পর তা অতিরিক্ত সময়ে গড়াবে এমন মানসিক প্রস্তুতি সবাই নিচ্ছিল। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে আলেকজান্ডার ট্রাজকোভস্কির গোলে ইতালির বিশ্বকাপ খেলার আশা শেষ হয়। আরেক ইতালিয়ান মিডফিল্ডার জর্জিনহো যেন এ ঘটনায় মানসিক আঘাতে রীতিমতো জর্জরিত।

‘এটা চরম হতাশার। মারাত্মকভাবে আঘাত দিয়ে চলেছে। আমরা সবসময় ম্যাচে সুযোগ তৈরি ও আধিপত্য বিস্তার করেছি। তবে দল হিসেবে কাজটা শেষ করতে পারিনি। নির্দিষ্টভাবে কাউকে দোষারোপ করছি না। তবে এটাই বাস্তবতা।’

টানা দুইবার বিশ্বকাপ খেলতে না পারার বেদনায় জর্জরিত চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। অথচ নয় মাস আগেই ইউরো আক্রমণাত্মক ও নান্দনিক ফুটবল উপহার দিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলটি প্লে-অফের সেমিফাইনালের বাধাই টপকাতে পারেনি। এমনটি ঘটার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না জর্জিনহো।

‘আমি জানি না কেন আমরা এটি করতে পারিনি। না পারার সঙ্গে আমিও জড়িত এবং এটি ভাবতে আমার কষ্ট হচ্ছে।’