ব্যাট হাতে ১০ বলে ৩৪। বল হাতে ১৯ রান খরচায় তিন উইকেট। এর মধ্যে দুই ওভারই ডট! শুক্রবার রাতে ইডেন উদ্যান দেখল পরদেশি এক খানের ঝলকে তার ‘দেশি’ খানের দলকে ১৩ রানে হেরে আইপিএলের ১১তম আসর থেকে বিদায় নিতে। ২৭ তারিখের ফাইনালে হায়দরাবাদের প্রতিপক্ষ ধোনির চেন্নাই।
কলকাতা এদিন টস জিতে হায়দরাবাদকে আগে ব্যাট করতে পাঠায়। সাত উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে দলটি। সাকিব আল হাসান ২৮ রান করার পাশাপাশি ১৬ রান দিয়ে এক উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে সুনিল নারিন আর ক্রিস লিন দারুণ শুরু করেন। ৮৭ রানে এক উইকেট থেকে ১১৮ রানে ছয় উইকেট হয়ে যায় তাদের!
নারিন ফেরেন ৩.২ ওভারের মাথায়। দলের রান তখন ৪০। ১৩ বলে ২৬ করে যান। চারের মার ছিল চারটি, ছয় একটি।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ক্রিস লিন এবং নীতিশ রানা ৪৭ রান যোগ করেন। রানা (২২) রানআউট হলে এই জুটি থেমে যায়। এরপর রশিদ খানকে রিভার্স-সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন আগের দশ ম্যাচে একটি অর্ধশতক পাওয়া রবিন উত্থাপা (২)। চকিত ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই আঘাত হানেন সাকিব। এবার অধিনায়ক কার্তিককে (৮) বোল্ড করেন তিনি। কাছের বলে কাটশট খেলতে গিয়ে বোল্ড হন। সাকিব তিন ওভারে এক উইকেট নিতে খরচ করেন ১৬ রান।
এতক্ষণ একপাশ আগলে রাখা ক্রিস লিন ভুল করেন রশিদ খানের বলে। রশিদ শর্টস্কয়ার লেগে ফিল্ডার রেখে পায়ে-পায়ে বল করছিলেন। তারই একটিতে লিন প্যাডেল সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ। যাওয়ার আগে ৩১ বলে ৪৮ রান করে যান। ১০৮ রানের মাথায় পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নেন লিন।
এরপর হাল ধরার চেষ্টা করেন অ্যান্ড্রু রাসেল এবং শুভম গিল। রাসেল জেঁকে বসার আগেই তাকে ফিরিয়ে দেন দুর্বোধ্য রশিদ খান। রশিদের চার ওভার শেষ হতে দেখে উইলিয়ামসন শর্টস্লিপে ফিল্ডার আনেন। ১৫তম ওভারের চতুর্থ বলটি রশিদ তার গুগলি অস্ত্র ছাড়েন। রাসেল কাট করতে গিয়ে ওই শর্টস্লিপেই ধাওয়ানের হাতে ধরা পড়েন। সাত বলে তিন করেন তিনি।
শেষ চার ওভারে ৪৩ রান দরকার ছিল শাহরুখ খানের কেকেআরের। শেষ ওভারে ১৯। পীযুষ চাওলা, শুভম গিলরা সেটি নিতে পারেনননি।
এর আগে হায়দরাবাদের শেখর ধাওয়ান এবং ঋদ্ধিমান সাহা দারুণ শুরু করেন। দুজনে ৫৬ রানের জুটি গড়ে ফেলেন, সাত ওভারের ভেতর। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বিদায় নেন ধাওয়ান। ২৪ বলে ৩৫ করেন তিনি। ১১তম ওভারে বিদায় নেন ঋদ্ধিমান। ২৭ বলে তিনিও করেন ৩৫। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন এদিন ফ্লপ। আগের ম্যাচে ২৪ করা এই ব্যাটসম্যান এদিন তিন বলে তিন রান করে যাদবের বলে কার্তিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। সাকিব আল হাসান ২৪ বলে চারটি চারে ২৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তিনি এদিন রানআউট হন। হায়দরাবাদের স্কোর বড় হয় রশিদ খানের ঝড়ে। ১০ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন। এর মধ্যে চার ছিল দুটি, ছয় চারটি। স্ট্রাইকরেট ৩৪০!