ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা ইউনিটে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় আগামী ১৪ জুনের মধ্যে হাসপাতালসহ চার কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছে হাইকোর্ট।
ইউনাইটেড হাসপতালর লাইসেন্স বাতিল, নিহতদের পরিবারকে পাঁচ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং ঘটনার তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নিয়াজ মুহাম্মদ মাহবুব ও শাহিদা সুলতানা শিলা’র করা এক রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
আদালত তার আদেশে, ‘ওই হাসপাতালের মূল ভবনের বাইরে গড়া আইসোলেশন ইউনিটের শেডের অনুমোদন ছিল কি না, সে বিষয়ে রাজউক কর্তৃপক্ষকে এবং আগুনে পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। আর অগ্নিকাণ্ডের ওই ঘটনায় সিআইডির তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শককে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স যে কমিটি গঠন করেছে সে কমিটির কার্যক্রমের অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।’
আজ ভার্চুয়াল আদালতে এই রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুনতাসীর উদ্দিন আহমেদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
গত বুধবার রাতে ইউনাইটেড হাসপাতালের নিচের প্রাঙ্গণে করোনাভাইরাসের রোগীদের জন্য স্থাপিত আইসোলেশন ইউনিটে আগুন লাগে। পরে আধাঘণ্টার চেষ্টায় সে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও পাঁচ রোগীর মৃত্যু হয় বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রেক্ষাপটে এই রিটের বাইরে আরো একটি রিট করা হয়েছে হাইকোর্টে। অগ্নিকাণ্ডে মৃত পাঁচ রোগীর পরিবারের জন্য দৃষ্টান্তমূলক ক্ষতিপূরণ এবং রোগীর মৃত্যুর ঘটনার বিচারিক তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রেদোয়ান আহমেদ রানজীব ও হামিদুল মিসবাহ জনস্বার্থে রিটটি করেন।