ইউটিউবে বিজ্ঞাপনের বিরক্তিকর যুগের অবসান ঘটেছে। কিনতু এজন্য মাসে দিতে হবে প্রায় ১০ ডলার। গুগল ঘোষণা দিয়েছে বিশেষ সুবিধাযুক্ত নতুন পেইড সংস্করণ ‘ইউটিউব রেড’। এর মধ্যে রয়েছে সব রকম বিজ্ঞাপন থেকে মুক্তি, এক্সক্লুসিভ সব ভিডিও কন্টেন্ট যা বিনামূল্যে ব্যবহারকারীরা পাবেন না, অফলাইনে পছন্দের ভিডিও যখন তখন দেখার সুবিধাসহ আরো অনেক কিছু।
এবার গুগল ঘোষণা দিলো বিশেষ সুবিধাযুক্ত নতুন পেইড সংস্করণ ‘ইউটিউব রেড’। যেখানে টাকা দিয়ে বিশেষ ধরণের সেবা কিনতে পারবে ব্যবহারকারীরা। এর মধ্যে রয়েছে সব রকম বিজ্ঞাপন থেকে মুক্তি, এক্সক্লুসিভ সব ভিডিও কন্টেন্ট যা বিনামূল্যে ব্যবহারকারীরা পাবেন না, অফলাইনে পছন্দের ভিডিও যখন তখন দেখার সুবিধাসহ আরো অনেক কিছু।
ইউটিউবের লোগো থেকে শুরু করে চলচ্চিত্রের ‘রেড কার্পেট’সহ নানাভাবে ইউটিউবের সঙ্গে জুড়ে আছে লাল রঙটি। তাই নতুন এই সেবার নাম ‘ইউটিউব রেড’ রাখা হয়েছে বলে ঘোষণায় জানিয়েছে গুগল।
ইউটিউবের বিরক্তিকর একটি অংশ হলো বিজ্ঞাপন। হয়তো পছন্দের একটি ভিডিও দেখছেন, এর মধ্যে বিজ্ঞাপন এসে স্ক্রিনের তিন ভাগের দু’ভাগ জুড়ে থাকে! অনেক বিজ্ঞাপন আবার ভিডিও চালু হওয়ার আগেই শুরু হয়ে যায়। তখন ভিডিও দেখার জন্য আগে বিজ্ঞাপন শেষ হওয়ার অপেক্ষা করতে হয়! এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেবে ইউটিউব রেড।
নতুন এই সেবা সাবস্ক্রাইব করলে প্রয়োজনে ফোনে ইউটিউব ভিডিও চালু থাকা অবস্থায় অন্য অ্যাপ ব্যবহার করলেও ব্যাকগ্রাউন্ডে ভিডিও চলতে থাকবে। ইউটিউব রেড অ্যাকাউন্ট থেকে মোবাইল, কম্পিউটার ট্যাবলেট বা যেই ডিভাইসেই সাইন ইন করা হোক না কেনো, সবখানেই একই সুবিধা ভোগ করা যাবে।
ইউটিউব রেড নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘কেউ বিনামূল্যে একটি সেবা দিলেই আমরা আশা করতে পারি না সেটি সারাজীবনই বিনামূল্যে পাওয়া যাবে। তাছাড়া তারা তো একটি ভার্সন বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য রাখছেই। যার বিশেষ সেবা লাগবে তারাই টাকা দিয়ে সেবাটা কিনবে। খুব সঙ্গত কারণেই ইউটিউব এই ব্যবস্থা করেছে বলে আমি মনে করি।’
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, বাংলাদেশে হয়তো প্রাথমিক পর্যায়ে মানুষের মনে হতে পারে সেবাটি আমি অর্থ দিয়ে কিনবো কিনা। এক্ষেত্রে এটি সম্পূর্ণই ব্যক্তির নিজস্ব প্রয়োজন ভূমিকা রাখবে বলে মোস্তফা জব্বার মনে করেন।
ইউটিউব রেড’র সাবস্ক্রিপশন চার্জ প্রতি মাসে ৯.৯৯ মার্কিন ডলার। তবে আগে যাচাই করে নেওয়ার জন্য রয়েছে এক মাসের ফ্রি ট্রায়াল ব্যবস্থা।
এ সম্পর্কে মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘৯.৯৯ ডলারকে আমি তেমন বড় পরিমাণ মনে করি না, যদি তা এর উপযুক্ত সেবা দিতে পারে, আমার প্রয়োজন পূরণ করতে পারে।’
ট্রায়াল সেবাকে পুরোপুরিই বাণিজ্যিক কৌশল উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেবাটা পুরোপুরি চালু হওয়ার আগে মানুষ বুঝতে পারবে না এটি আসলে তাদের প্রয়োজন কিনা। এক্ষেত্রে ফ্রি ট্রায়াল নিয়ে ব্যবহারকারী বুঝতে পারবে তার প্রয়োজনগুলো ইউটিউব রেড পূরণ করতে পারছে কিনা। তখন সে ঠিক করবে ৯.৯৯ ডলার ব্যয় করার যোগ্য কিনা সেবাটি।
যদি সত্যিই বিশেষ ধরণের প্রয়োজনীয় ভিডিও কন্টেন্ট ইউটিউব রেড ব্যবহারকারীকে যোগান দিতে পারে, তবে নিঃসন্দেহে সেবাটি বাংলাদেশেও অনেক কাজে লাগবে বলে মনে করেন এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।
আগামী ২৮ অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করবে ইউটিউব রেড।