যুদ্ধবিরতি লংঘন করে মারিউপোল শহরের একটি হাসপাতালের নারী ও শিশু ওয়ার্ড রুশ বিমান হামলায় ধ্বংস হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন।
একজন আঞ্চলিক কর্মকর্তার বরাতে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানায়, হাসপাতালের স্টাফ এবং রোগীসহ কমপক্ষে ১৭ জন আহত হয়েছেন।
এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধ বলে অভিহিত করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেক মানুষ আটকা পড়েছে।
বিবিসি জানায়, তিনি (জেলেনস্কি) হাসপাতালের ভিতরের ফুটেজও পোস্ট করেছিলেন, যা খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বলে মনে হয়েছিল।
এর আগে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের আরও ৬টি বেসামরিক এলাকায় নতুন করে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়ে মানবিক করিডোর খোলা রাখার কথা জানায় রাশিয়া।
ইউক্রেনের বন্দর নগরী মারিউপোল অন্তর্ভুক্ত দোনেৎস্কের আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধান পাভলো কিরিলেঙ্কো জানান, কোনো মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত যায়নি এবং শিশুদের হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, ইন্টারফ্যাক্স ইউক্রেন অনুসারে রুশ পক্ষের সাথে যুদ্ধবিরতির সময়ে হামলাটি ঘটেছে।
মারিউপোল সিটি কাউন্সিল প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির দাবি করেছেন। প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে পুড়ে যাওয়া ভবন, ধ্বংসপ্রাপ্ত গাড়ি এবং হাসপাতালের বাইরে একটি বিশাল গর্ত দেখানো হয়েছে। বিবিসি ভিডিওগুলোর অবস্থান সত্যতা করেছে বলে জানায়।
মারিউপোলের ডেপুটি মেয়র সের্হি অরলভ আরও জানান, শিশুদের হাসপাতালে বোমা হামলা করা কীভাবে সম্ভব তা আমরা বুঝতে পারছি না। মানুষ এ হামলাকে সত্য বলে বিশ্বাস করতে পারে না।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি, তার সর্বশেষ ভিডিও ভাষণে বলেন, রাশিয়া কি ধরনের দেশ যে এটি হাসপাতাল এবং প্রসূতি ওয়ার্ডগুলিকেও ভয় পায় এবং তাদের ধ্বংস করে?
অন্যদিকে, যুদ্ধের প্রথম দুই সপ্তাহে কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ হাজার রাশিয়ান সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আহত রাশিয়ান সৈন্যের সংখ্যা প্রায় ১৫,০০০ থেকে ১৮,০০০ বলে অনুমান করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তা এটিকে খুব উল্লেখযোগ্য হতাহতের সংখ্যা মন্তব্য করে জানান, মৃত্যুর হারকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সাথে তুলনা করেছেন।
তবে, ইউক্রেনের দাবি যুদ্ধে প্রায় ১২,০০০ রুশ সৈন্য মারা গেছে। গত সপ্তাহে রাশিয়া জানিয়েছিল, ইউক্রেনে তাদের ৫০০ জনেরও কম সেনা মারা গেছে।
বিবিসি জানায়, বৃহস্পতিবার রাশিয়া ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তুরস্কে শান্তি আলোচনায় বসবেন।