চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বাংলাদেশে আরব আমিরাতের বড় বিনিয়োগ সম্ভাবনা

সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের কয়েকটি প্রকল্পে বিনিয়োগসহ নানা বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহী। এছাড়া দুইদেশের মধ্যে আরো বেশি বাণিজ্য উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব উল্লেখ করে সম্ভাবনার নানা দিক নিয়ে দুবাইতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইকোনোমিক ফোরামের এক সভায় আলোচনা হয়েছে।

শনিবার দুবাইতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকা বিশিষ্ট বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে সেই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানটির উদ্বোধনীতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ ইমরান বাংলাদেশের সব ক্ষেত্রে আশার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশে থাকা সব ধরনের সুযোগের বিষয়েও কথা বলেন তিনি।

বৈশ্বিক পোর্ট অপারেটর ডিপি ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ পোর্ট প্রজেক্টে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী জানিয়ে ড. মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ডিপি ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ডিপি ওয়ার্ল্ডের বিনিয়োগ এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং কোম্পানিটি তাদের প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে। তারা পোর্ট নিয়ন্ত্রণে দক্ষ। আরএকে সিরামিকেরও বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ আছে। দুটি দেশের মথ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উন্নয়নে অনেক অনেক সুযোগ রয়েছে।

ডিপি ওয়ার্ল্ড চট্টগ্রাম পোর্টের কন্টেইনার নঙ্গর করার টার্মিনাল ও উপকূলীয় টার্মিনাল চালানোর জন্য আগ্রহী। বাংলাদেশে আরো দুটি বন্দর পরীক্ষামূলক চলছে এবং একটি তৈরি হতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ ও ইউএই এর মধ্যকার বাণিজ্য গত বছর ১ বিলিয়ন পর্যন্ত হয়েছিলো। ইমরান প্রত্যাশা করেন আগামী ৫-১০ বছরে সেটি ৪-৫ বিলিয়ন ইউএস ডলারে যাবে। বাংলাদেশ ইউএইতে খাবার, কারুপণ্য, পোশাক ইত্যাদি রপ্তানি করে বিনিময়ে সেখান থেকে পেট্রোকেমিকাল সেখান থেকে আমদানি করে।

‘আমরা মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ বাড়াতে চাই। যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের দিকে এখন আর শুধু শ্রমিক প্রেরণের জন্য তাকিয়ে থাকলে হবে না। আমরা এখন পেশাজীবীদেরও একটি বড় ক্ষেত্র।’

প্রবাসীরা কীভাবে দেশের উন্নয়নে আরো বেশি ভূমিকা রাখতে পারে সে বিষয়ে কথা বলেন প্যান এশিয়া মিডিয়া গ্রুপের সিইও সাইফুর রহমান।

ফোরামে সাউথ এশিয়ান দেশগুলোর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সুযোগ নিয়েও আলোচনা চলে। বাংলাদেশ সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করে দিয়েছেন। যেখানে বিদেশিরা এমিরেটিসরা খুবই কম খরচে লাইসেন্স, জমি, উৎপাদন ও শুল্কমুক্ত রপ্তানি কোটা ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে অংশ নিতে পারবে বলে জানান আলোচকরা।

ইন্ডিয়ান ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারের চেয়্যারম্যান সুদেশ আগারওয়াল, দুবাই মিউনিসিপ্যালিটির চিফ ওয়াইল্ডলাইফ এক্সপার্ট ড. রেজা খান, আল হারামাইন গ্রুপের চেয়্যারম্যান মাহতাবুর রহমান নাসির এই সময়ে কথা বলেন।