নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ডে-নাইট টেস্টের প্রথম ইনিংসে সর্বনিম্ন রানের লজ্জা এড়ানোর পর বোলিংয়েও সুবিধা করতে পারছে না ইংল্যান্ড। প্রথমদিনেই ১১৭ রানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিকরা, ৭ উইকেট অক্ষত।
অকল্যান্ডে প্রথমদিন ২১ ওভারে অলআউট হয়েছে ইংল্যান্ড। ২৭ রানে ৯ উইকেট পড়ার পর শেষ জুটিতে ৩১ রান তুলে টেস্ট ইতিহাসের ও নিজেদের সর্বনিম্ন ইনিংসের লজ্জা এড়িয়েছে রুটের দল। বোল্ট-সাউদির তোপে অলআউট হয়েছে মাত্র ৫৮ রানে।
ইংল্যান্ডের সর্বনিম্ন টেস্ট ইনিংসটি ৪৫ রানের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ১৮৮৭ সালে। এখন ৫৮ দলটির ষষ্ঠ সর্বনিম্ন স্কোর, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের সবচেয়ে কম। আবার টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় পড়েছিল কিউইরা। ১৯৫৫ সালে এই ইডেন পার্কেই ২৬ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। বৃহস্পতিবার ২৩ রানে ৮ উইকেট যাওয়ার পর প্রতিশোধটা নেয়ার খুব কাছেই চলে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড।
সেটি হয়নি দুই পেসার জেমস অ্যান্ডারসন এবং ক্রেইগ ওভারটনের জুটিতে। শেষ উইকেটে দুজন ৩১ রান যোগ করেন।
তার আগে সুইংয়ের পসরা সাজিয়ে গোলাপি বলে ইংলিশদের কাঁপিয়ে দেন দুই পেসার বাঁহাতি ট্রেন্ট বোল্ট এবং ডানহাতি টিম সাউদি। বোল্ট ১০.৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন। ২৫ রানে বাকি ৪টি সাউদির।
ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান ওভারটনের, অপরাজিত ৩৩। ২৫ বলে ৫টি চার, এবং একটি ছয়ে সাজানো। দুই অংক ছোঁয়া অন্যজন, স্টোনম্যান (১১)। শূন্য রানে আউট হয়েছেন পাঁচজন। অধিনায়ক রুট, বেন স্টোকস, জনি বেয়ারস্টো, মঈন আলি ও স্টুয়ার্ট ব্রড।
পরে ৩ উইকেটে ১৭৫ রানে দিন শেষ করেছে নিউজিল্যান্ড। রাভালকে (৩) হারিয়ে শুরুর পর ল্যাথাম (২৬) ও টেলর ২০ রানে ফিরে যান। তবে দাঁড়িয়ে যান কেন উইলিয়ামসন এবং হেনরি নিকোলস।
অধিনায়ক উইলিয়ামসন আছেন সেঞ্চুরির অপেক্ষায়। ৯১ রানে দ্বিতীয় দিন শুরু করবেন। সঙ্গী নিকোলস অপরাজিত ২৪ রানে।
উইকেট তিনটির দুটি তুলে নিয়েছেন অ্যান্ডারসন। অন্যটি ব্রডের। এই এক উইকেট দিয়েই ইতিহাসের কনিষ্ঠ পেসার হিসেবে ৪০০ টেস্ট উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন ইংলিশ পেসার। ৩১ বছর ২৭১ দিন বয়সে ১১৫তম টেস্টে এসে চারশ ছুঁলেন। বৃহস্পতিবার ল্যাথামকে ওকসের ক্যাচ বানিয়েছেন ব্রড।