ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সাখুয়া আদর্শ বিদ্যানিকেতনের ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ ক্লাবের সদস্যদের নানা প্রশ্নের জবাব এবার দিলেন ময়মনসিংহ জেলার শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম।
এর আগে ২০১৭ সালের ২৯ জানুয়ারি সাখুয়া আদর্শ বিদ্যানিকেতনের ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ ক্লাবের সদস্যদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন চ্যানেল আইয়ের প্রধান বার্তা সম্পাদক ও চ্যানেল আই অনলাইনের সম্পাদক সাংবাদিক ও লেখক জাহিদ নেওয়াজ খান।
মাত্র ৩২ জন সদস্য নিয়ে ‘ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ ক্লাব’টি পরিচালিত হচ্ছে গত কয়েকবছর ধরে। বিদ্যালয়ের একদল আগ্রহী শিক্ষার্থী আর কয়েকজন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি স্কুল, সাখুয়া আদর্শ বিদ্যানিকেতন (উচ্চ বিদ্যালয়)।
শিক্ষার্থীদের মাঝে ইংরেজি চর্চা বাড়াতে এবং ব্যবহারিক জীবনে ইংরেজিতে পারদর্শিতা আনতে স্কুলে ক্লাসের নির্ধারিত সময়ের আগে কিংবা পরে বাড়তি সময় নিয়ে এই ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে বিভিন্ন সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার ময়মনসিংহ জেলার শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ ক্লাবটি পরিদর্শন করতে যান। বিদ্যালয়ের পরিপাটি ও সুসজ্জিত একটি রুমে নির্ধারিত সময় দেড়টায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয় এবং বিরতিহীনভাবে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত চলে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালাহ উদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার। ইংরেজি ভাষায় পরিচালিত অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক মনির হোসেন মামুন এবং দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিফাহ সানজিদা ঐশী।
উপস্থিত অতিথিদের অভিজ্ঞতালব্ধ প্রতিক্রিয়ানুযায়ী এই অনুষ্ঠানটির সার্বিক পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হাসিম উদ্দিন মাহমুদ।
ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ ক্লাব আয়োজিত অনুষ্ঠানের সার্বিক কার্যক্রম দেখে জেলা শিক্ষা অফিসার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। শিক্ষার্থীদের ইংরেজি চর্চার প্রতি আগ্রহ এবং তাদের পারফরমেন্সের ভূয়সী প্রশংসাও করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সাংবাদিক রমেশ কুমার পার্থ এবং দৈনিক কালের কণ্ঠের সাংবাদিক আলম ফরাজী প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি স্কুলের এ ধরনের উদ্যোগের প্রশংসা করে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে প্রশ্ন রাখেন, সাখুয়া হাইস্কুল যদি পারে, অন্যরা তাহলে পারবে না কেন? প্রত্যেকটি স্কুল যাতে তাদের শিক্ষার্থীদের ইংরেজি শিক্ষার জন্য এ ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করে, এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান তারা।
প্রতিষ্ঠানের নীতি অনুযায়ী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল শিক্ষার্থী ও প্রধান অতিথির অংশগ্রহণে প্রশ্নোত্তর পর্ব। এ পর্বে এবারের শিরোনাম ছিল: To The Chief Guest: ‘Thirty Questions for Thirty Minutes’।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিদুলের করা একটি প্রশ্নের মাধ্যমে প্রশ্নোত্তর পর্ব ও অনুষ্ঠান শেষ হয়।