চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ইংলিশদের চিন্তায় আফগানদের এড়াচ্ছেন কোহলি

নিজেদের অভিষেক টেস্টের প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারতকেই বেছে নিয়েছে আফগানিস্তান। কিন্তু সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তে বর্তমান ক্রিকেটের সেরা ব্যাটিং নায়ক বিরাট কোহলিকে পাবে না আফগানরা। কারণ ইংল্যান্ড সিরিজের কথা চিন্তা করে রশিদ-নবীদের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচটা এড়াতে চাইছেন ভারতীয় অধিনায়ক।

আগামী গ্রীষ্মে ইংল্যান্ডে সফরে রান পেতে জন্য মরিয়া বিরাট কোহলি। অতীতে শেষ যখন ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিলেন। ৫ টেস্টে করেছিলেন মাত্র ১৩৪ রান। গড় ছিল ১৩.৪০। যা মোটেই বিরাটসুলভ নয়।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

আসন্ন সফরে ভারত খেলবে ৫ টেস্ট। সঙ্গে রয়েছে তিন ওয়ানডে ও সমানসংখ্যক টি-টুয়েন্টি। তবে এবার টেস্ট হবে পরে। আগে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি হবে। যার ফলে উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার অনেকটাই সুযোগ পাবেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা।

তবুও ঝুঁকি নিচ্ছেন না ভারত অধিনায়ক। সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন কাউন্টিতে খেলার। ইংল্যান্ড সফর শুরুর আগে সারের হয়ে কাউন্টিতে খেলতে দেখা যাবে কোহলিকে। তাই আইপিএলের পরই ইংল্যান্ডে উড়ে যাবেন তিনি। আর সেই জন্যেই আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলবেন না।

১৪ জুন থেকে বেঙ্গালুরুতে শুরু ভারত–আফগানিস্তান টেস্ট। যা রশিদ খান, মোহাম্মদ নবীদের প্রথম টেস্ট। কিন্তু সেই টেস্টেই খেলবেন না ভারত অধিনায়ক।

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম টেস্ট এজবাস্টনে। শুরু ১ আগস্ট। আইপিএল খেলেই সারের হয়ে খেলতে ওভালে চলে যাবেন বিরাট। ভারতের আরেক টেস্ট ব্যাটসম্যান চেতেশ্বর পূজারাও তখন ইয়র্কশায়ারের হয়ে কাউন্টি খেলবেন। সারের হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা রয়েছে কোহলির। ৯ থেকে ২৮ জুন সারের ম্যাচগুলি রয়েছে হ্যাম্পশায়ার, সমারসেট ও ইয়র্কশায়ারের বিরুদ্ধে। অর্থাৎ কাউন্টিতে কোহলির বিপক্ষে খেলতে দেখা যাবে পূজারাকে।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেললেই চারটি টেস্ট খেলুড়ে দলের অভিষেকের সঙ্গে নাম জড়িয়ে যাবে ভারতের। ১৯৫২ সালে পাকিস্তান, ১৯৯২তে জিম্বাবুয়ে ও ২০০০ সালে বাংলাদেশের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ভারতের বিপক্ষেই।

চলতি বছরের জুনে আইসিসির একাদশ ও দ্বাদশ টেস্ট খেলুড়ে দল হিসেবে স্বীকৃতি পায় আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড। নিজেদের অভিষেক প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে বেছে নিয়েছে আইরিশরা। ম্যাচ মাঠে গড়াবে ২০১৮ সালের মে মাসে।