চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ইংলিশদের উড়িয়ে অ্যাশেজে এগিয়ে গেল অজিরা

স্মিথের অবিস্মরণীয় প্রত্যাবর্তনে লিড নিল পেইন বাহিনী

অ্যাশেজে অবিস্মরণীয় প্রত্যাবর্তন স্টিভেন স্মিথের। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ১৪৪। দ্বিতীয় ইনিংসে তার ব্যাটে আসে ১৪২। স্মিথের সৌজন্যেই দারুণ জয় পেল অস্ট্রেলিয়া। ইংলিশদের ২৫১ রানের ব্যবধানে উড়িয়ে অ্যাশেজে ১-০তে এগিয়ে গেল পেইন বাহিনী।

প্রথম ইনিংসে ২৮৪ রান তোলার পর দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ৪৮৭/৭ তুলে ডিক্লেয়ার করেছিল। ৩৯৮ রানের লক্ষ্য মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড চতুর্থ দিনের শেষে করে ১৩/০। পঞ্চম দিন জো রুটরা ম্যাচ জিতবেন কিনা তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন, তেমনই অস্ট্রেলিয়া বল হাতে ভেল্কি দেখায় কিনা সেটা নিয়েও ছিল সমান আগ্রহ।

পঞ্চমদিন ভেল্কি দেখাল অস্ট্রেলিয়ার বোলাররাই। ২০০১ সালের পর যেকোনো ফরম্যাটেই এজবাস্টনে এটি অজিদের প্রথম জয়। আর ২০০৫ অ্যাশেজের পর প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের মাটিতে হওয়া অ্যাশেজে প্রথমে লিড নিল তারা।

ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন নাথান লায়ন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটসহ অস্ট্রেলিয়ান অফস্পিনার দুই ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৯ জন ব্যাটসম্যানকে আউট করেছেন। এছাড়া দ্বিতীয় ইনিংসে ৪টি সহ দুই ইনিংসের ৭ উইকেট শিকার পেসার প্যাট কামিন্সের।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৬ রানে অলআউট হয় জো রুটের দল। স্বাগতিকদের টপঅর্ডারের প্রথম চার ব্যাটসম্যান দুই অঙ্ক স্পর্শ করেন। এরমধ্যে রুট ও জেসন রয় সমান ২৮ রানের ইনিংস খেলেছেন। সমান ১১টি করে রান করেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ররি বার্নস ও জো ডেনলি।

ইংলিশদের শেষ সাত ব্যাটসম্যানের মধ্যে একজনই কেবল দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেন। ৩৭ রান করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন ক্রিস ওকস। বাকিরা আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকায় জয় তো দূরের কথা প্রতিরোধও গড়তে পারেনি বিশ্বকাপজয়ী ইংল্যান্ড।

গত বৃহস্পতিবারও (অ্যাশেজ শুরুর দিন) এজবাস্টনের গ্যালারিতে ছিল অনেক মুখোশ। যাতে তুলে ধরা হয়েছিল কান্নাভেজা একটা মুখ। কিন্তু রোববার ও সোমবার সেসবের আর দেখা মেলেনি ইংল্যান্ডের গ্যালারিতে। অর্থাৎ, সবকিছুর জবার কাঠের ব্যাটে দিয়েছিলেন স্মিথ। সন্দেহাতীতভাবেই ম্যাচ সেরা হয়েছে তিনি।