প্রয়োজনের সময়ই জ্বলে উঠলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পেলেন ফিফটি। তার ৬২ রানে ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ১৭৬ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।
এই ইনিংস দিয়ে আড়াই বছরেরও বেশি সময় পর জাতীয় দলের জার্সিতে টি-টুয়েন্টি ফিফটির খরা কাটালেন মাহমুদউল্লাহ। সবশেষ ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছিলেন মিডলঅর্ডারের অন্যতম এ ভরসা।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দারুণ। প্রথম ওভারে দেখেশুনে খেলার পর দ্বিতীয় ওভারেই হাত খোলা শুরু লিটনের। কাইল জার্ভিসের করা সেই ওভারে আসে দুই চার। আইন্সলে এনডল্ভুর করা তৃতীয় ওভারে ঝড় তোলেন লিটন। দুই ছক্কা ও এক চারে সেই ওভারে আসে ২১ রান।
লিটনের দেখাদেখি হাত খুলতে চেয়েছিলেন অভিষিক্ত ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে তার ইনিংস লম্বা হয়নি। ৯ বলে এক চারে ১১ করার পর পঞ্চম ওভারে জার্ভিসকে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ফেরেন লিটনও। ক্রিস্টোফার এম্পোফুর বলে ফাইন লেগ দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে মাদজিবার দারুণ এক ক্যাচে কাঁটা পড়েন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ফেরার আগে দুই ছক্কা ও চারটি চারে করেছেন ২২ বলে ৩৮।
ইনিংস লম্বা করতে পারেননি সাকিবও। আগের ওভারে রান আউট থেকে বেঁচে গেলেও অষ্টম ওভারে রায়ান বুর্লের বলে শন উইলিয়ামসের হাতে ধরা পড়েন ৯ বলে ১০ করা টাইগার অধিনায়ক।
সাকিব ফেরার পর উইকেটে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রথম বলেই হাঁকান ছয়। পরে মুশফিকের সঙ্গে উইকেটে গড়ে তোলেন মেলবন্ধন। দুজনের তাল মেলানো ব্যাটিংয়ে ১২ ওভারেই বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে রান ওঠে ১০২।
এরপর আরও ৪১ রান পর্যন্ত জুটিকে টেনে নিয়ে গেছেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ। চতুর্থ উইকেটে ৭৮ রান তোলার পর বিচ্ছিন্ন হন মুশি। মুতোমবোদজির বলে উইকেটের পেছনে ব্র্যান্ডন টেলরের দারুণ এক ক্যাচে থামে তার ২৬ বলে ৩২ রানের ইনিংসটি।
সঙ্গীকে হারিয়েও রানের গতি বাড়াতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ। এম্পোফুকে ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৭ বলে তুলে নেন আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে নিজের চতুর্থ ফিফটিও। ৪১ বলে ৫ ছক্কা ও এক চারে সাজানো ইনিংসটি থেমেছে শেষ ওভারের তৃতীয় বলে।
বাংলাদেশের ৭ উইকেটের ৩টিই নিয়েছেন জার্ভিস। রান খরচ করেছেন ৩২। ৪২ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন ক্রিস্টোফার এম্পোফু।