আসামের ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেছে আসামের বাংলাভাষা সংগ্রাম পরিষদ।
ফুল দিতে এসে ভাষা সংগ্রামী শামছুল হুদা বলেন, বাংলা ভাষা-ভাষীর একটা আধিক্য ছিল, তখন তারা নিতে পারল না। আমাদেরও একটা অধিকার আছে যে ভাষা মর্যাদা দিতে হবে। তখন তারা একটা আন্দোলন করল একটা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বাংলা ভাষাকে সুরক্ষা প্রদান করতে হবে, বাংলা ভাষার সুরক্ষা প্রদান করতে হবে। সেই বিষয়ে যেমন বাঙ্গালী জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকবে ঠিক একইভাবে আজকে পৃথিবীর সকল মাতৃভাষার সুরক্ষার উৎস কিন্ত এই বাংলা ভাষা।
তৎকালীন পূর্ব বাংলার মতো ভারতের আসামেও বাংলা ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছিলো বাঙালীরা। বৃটিশ ভারতে আসাম রাজ্যে অহমীয়ার মতো বাংলা ভাষাও রাজ্য ভাষার মর্যাদা পেতো। কিন্তু ভারত স্বাধীন হওয়ার পর কেড়ে নেয়া হয় সে মর্যাদা।
১৯৫২ সালের বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের মতো ১৯৬১ সালে ভারতের আসাম রাজ্যেও বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করেছিলেন আসামের বাঙ্গালিরা।
১৯৬০ সালে তৎকালীন রাজ্য সরকার বাংলাকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র অহমীয়া ভাষাকে আসামের রাজ্য ভাষার স্বীকৃতি দেয়। এতে উপেক্ষিত হয় এক বৃহৎ ভাষা গোষ্ঠী। মাতৃভাষা বাংলার জন্য শুরু হয় তুমুল আন্দোলন। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের মিলিত প্রয়াসে গঠিত হয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। বদরপুর, আলিপুর, বরইগ্রাম, করিমগঞ্জসহ সকল স্থানে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
১৯ মে ভোর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় ও সরকারী দপ্তর আন্দোলনকারীদের পিকেটিংয়ে অচল হয়ে পড়ে। আসাম রাজ্য পুলিশ ক্রমেই হিংস্র হয়ে ওঠে এবং দুপুরে গুলি চালিয়ে শিলচর রেলস্টেশনে একজন নারীসহ ১১জনকে হত্যা করে।