আসামে প্রকাশিত জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন তালিকায় (এনআরসি) নিজের নাম দেখতে পাননি আসামের দ্বিতীয় শক্তিশালী বিরোধী দলের এক বিধায়ক।
১৯ লাখেরও বেশি নাগরিকের নাম বাদ পড়াদের তালিকায় স্বয়ং অল ইন্ডিয়ান ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের অনন্ত কুমার মালোও রয়েছেন। এনআরসি’র ওয়েবসাইটে তিনি নিজের নাম দেখতে পাননি।
আসামে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে যে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী তৈরি করা হয়েছে তাতে ১৯ লাখেরও বেশি মানুষকে নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে। তবে জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর চূড়ান্ত তালিকায় রয়েছেন ৩.১১ কোটি মানুষ।
অবশ্য সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত, নাগরিক তালিকার বাইরে থাকা ব্যক্তিদের বিদেশি বলে গণ্য করা হবে না। তারা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের সময়সীমা ৬০ দিন থেকে বৃদ্ধি করে ১২০ দিন করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শুনানির জন্য মোট ১,০০০ ট্রাইবুনাল তৈরি করা হবে। ইতোমধ্যেই ১০০টি ট্রাইবুনাল খোলা হয়েছে এবং আরও ২০০টি ট্রাইবুনাল সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে খোলা হবে। ট্রাইবুনালে মামলায় হেরে গেলে, হাইকোর্ট এবং পরে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারবেন।
সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে আটক করা হবে না বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
নাগরিকত্ব তালিকার বিষয়টি আসামের ক্ষেত্রে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৫, এই ছয় বছর বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের সনাক্তকরণ এবং তাদের বিতাড়িত করার দাবিতে আন্দোলন হচ্ছে আসামে।
১৯৫১ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার আসামে জাতীয় নাগরিক তালিকা প্রকাশিত হল। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার করার পর আসামের জাতীয় নাগরিক তালিকা প্রকাশ করাও নরেন্দ্র মোদি সরকারের আরেকটি বড় পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।