অমিলই যেন খুঁজে পাওয়া দায়! একই রকম চুল, একই রকম গাল ডোবানো দাড়ি, উচ্চতাও প্রায় সমানই। সঙ্গে গায়ে যদি জড়ান লিভারপুলের জার্সি, তাহলে তো কে আসল কে নকল সেটাই বোঝা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়! ইরাকের হুসেইন আলী তাই যেন মিশরের মোহামেদ সালাহরই অবিকল প্রতিমূর্তি। ইরাকের মানুষ ভালোবেসে তার নাম দিয়েছে ‘ইরাকি সালাহ’!
শুধু চেহারাই নয়, আসল সালাহর মতো নিজেও একজন ফুটবলার হুসেইন আলী। খেলেন ইরাকের আল জাওয়ারাহ ক্লাবে। মিশরের বিখ্যাত সালাহর পদচিহ্ন অনুসরণ করে খেলতে চান লিভারপুলেও।
প্রতি কাজেই সালাহকে অনুসরণ করেন বলে সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে জানিয়েছেন ২০ বছর বয়সী হুসেইন, ‘আমরা কিন্তু একই পজিশনে খেলি। প্রতিটা পদেই আমি তার চলাফেরা অনুসরণ করার চেষ্টা করি। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে তিনি কুরআন পড়েন, খোদার কাছে প্রার্থনা করেন। আমিও কুরআন পড়ি আর খোদার কাছে দোয়া চাই।’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচে চোটে পড়ে বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত নন সালাহ। অন্যদিকে লিভারপুলের জার্সি পরে রাস্তায় বেরোলে লোকজন ভুলে হুসেইনকেই ‘দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠো’ বলে শুভকামনা জানাচ্ছে। এমনকি সালাহ যেদিন চোটে পড়লেন, সেদিন দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন এসে দেখে গেছে হুসেইনকে।
‘সালাহ যেদিন চোটে পড়লেন, লোকজন এসে আমাকে দেখতে শুরু করল; যেন আমিই চোটে পড়েছি। আমার প্রতিবেশীরা রাস্তায় দেখলেই দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে বলে শুভকামনা জানান নিয়মিত।’
সালাহ ভক্তদের মধুর অত্যাচার নিয়মিত সহ্য করতে হয় হুসেইনকে, ‘আমরা লেবানিস ক্লাব আল আহেদের বিপক্ষে খেলতে গিয়েছিলাম। সেখানের লোকজন আমার সঙ্গে দেড় ঘণ্টা ধরে ছবি তুলেছে।’
‘কিছুদিন আগে আমি একটি শপিং মলে গিয়েছিলাম। সেখানকার গার্ড, পরিচ্ছন্ন কর্মী থেকে শুরু করে মেয়েরাও আমার সঙ্গে ছবি তুলেছে।’ হুসেইন উচ্ছ্বাস গোপন না বলে চলেন।