জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু হবে আগামী ১০ জুন (বুধবার)। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় সংসদ ভবনের সভাকক্ষে একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টম (২০২০ খ্রিস্টাব্দের বাজেট) এ অধিবেশন আহ্বান করেছেন। ওই দিন বিকেল ৫ টায় শুরু হওয়া অধিবেশনে আগামী ২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা করা হবে।
এদিকে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের জন্য ১ হাজার ৫৮৪ টি প্রকল্পে প্রায় ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার ব্যয় সম্বলিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে সামনের দিনগুলির জন্য দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা শুরু হয়ে গেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে করোনাভাইরাসের এই প্রকোপে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গলি থেকে রাজপথ সবই উম্মোচিত হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু চরম সঙ্কট সময়ের কথা মাথায় রেখে এতো যুগ যে স্বাস্থ্যখাতকে গুরুত্ব দেয়া হয় নি, তা বললে ভুল হবে না। তাছাড়া বাজেট বরাদ্দের পাশাপাশি শুধুমাত্র কেনাকাটা করেই স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতিও যে ঘটানো যায় না, তাও প্রমাণিত। করোনার এই দুর্যোগে অনেক বিভাগীয় ও জেলা হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধা থাকলেও তা বহুবছর ব্যবহার না হবারও ঘটনা গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। প্রয়োজনীয় মেডিকেল টেকনিশিয়ান থেকে শুরু করে সার্বিক ব্যবস্থারও ঘাটতি চোখে পড়েছে। বাজেট পরিকল্পনার সময় এসব বিষয়ের মাঠপর্যায়ের বাস্তবায়ন সর্ম্পকেও যথেষ্ট কাজ করার আছে বলে আমরা মনে করি।
স্বাস্থ্যখাতে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ২৯ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। ওই বরাদ্দ জিডিপির ১.০২ শতাংশ এবং মোট বাজেট বরাদ্দের ৫.৬৩ শতাংশ ছিল। এবছর এদিকে বিশেষ নজর দেয়া জরুরি, সেইসঙ্গে করোনার ভ্যাকসিন বিষয়েও বড় অংকের বরাদ্দ প্রস্তুত রাখা দরকার। যদিও দুর্যোগ বিবেচনায় রাষ্ট্র যেকোনোসময় তা করতে পারে।
করোনাভাইরাস প্রতিনিয়ত দেশের জনগণ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার থাকা দায়িত্বশীলদের বুঝিয়ে দিয়েছে, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা। সেই শিক্ষাকে কাজে পরিণত করে সামনের দিনগুলিতে আমাদের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করা উচিত। আমাদের আশাবাদ, এই বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা গুরুত্ব দিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন।