প্রশাসনের আশ্বাসে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও ফরিদপুরসহ ১৩ জেলায় ৪৮ ঘণ্টার
পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
তারেক
মাসুদ-মিশুক মনিরের মতো আলোকিত মানুষকে কেড়ে নেয়া সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায়
দায়েরকৃত ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধসহ কয়েক দফা দাবিতে খুলনা বিভাগে
দ্বিতীয় দিনের মতো চলছিলো পরিবহন ধর্মঘট। দেশের সাহিত্য-চলচ্চিত্র-গণমাধ্যম
অঙ্গনে সৃষ্ট অপূরণীয় ওই শূন্যতায় ১৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের মামলা প্রত্যাহারসহ প্রভাবমুক্ত বিচারের দাবিতে চলা ধর্মঘটে চরম দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ যাত্রীরা।
খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ধর্মঘট কর্মসূচি চালানো পরিষদটির
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ ৫ জন
নিহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে বিচার কাজ
শেষ করা, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে ১৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে দায়ের
করা মামলাকে ‘অসঙ্গতিপূর্ণ’ অভিযোগ করে প্রত্যাহার এবং গ্রিন লাইন পরিবহনের
নামে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার।
চুয়াডাঙ্গা
প্রতিনিধি রাজীব হাসান কচি জানান, দ্বিতীয় দিনের মতো চলা চুয়াডাঙ্গায়
পরিবহন ধর্মঘটে সোমবার সকাল ১০টার দিকে বাস টার্মিনালের সামনে
বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকেরা একটি ট্রাকের গ্লাস ভাংচুর করে। চুয়াডাঙ্গার সাথে
সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। ধর্মঘটে ফলে দুর দূরান্ত যাওয়া
যাত্রী সাধারণ পড়েন চরম দুর্ভোগে। দুরপাল্লা ও আন্তঃজেলার সব রুটে বাস,
ট্রাক, মাইক্রোবাস, ট্রাংক লরি বন্ধ।
যশোর প্রতিনিধি আকরামুজ্জামান
জানিয়েছেন, সাতদিনের আল্টিমেটাম মেনে না নেওয়ায় গত শনিবার প্রেসক্লাব যশোরে
এক সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব আবদুর
রহিম বক্স দুদু পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
রোববার সকাল
থেকে ধর্মঘট শুরু হওয়ায় বাস, ট্রাক, ট্রাংক লরি, কাভার্ড ভ্যানসহ সকল
প্রকার যাত্রিবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এতে দুর্ভোগে
পড়েন এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। রোববার ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ
ধর্মঘট মঙ্গলবার (১৭ মে) ভোর ৬টা পর্যন্ত (৪৮ ঘণ্টা) চলার কথা ছিলো।
খুলনা প্রতিনিধি দানিয়েল সুজিত
বোস জানিয়েছেন, গতকাল (রোববার) সকাল ৬ টা থেকে শুরু হওয়া পরিবহন ধর্মঘটে
বাস, ট্রাক, কার্ভাড ভ্যানসহ ট্রাংক লরী বন্ধ থাকে।
এই
ধর্মঘটের কারণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এর সাথে সারাদেশের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। খুলনার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকেও কোন প্রকার বাস ছেড়ে
যাইনি। যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের জন্য দূর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষের।
এই ধর্মঘটের কারণে দুর-দুরান্তের যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।