করোনায় মৃত্যু দিনের পর দিন নানা মাইলফলক ছাড়াচ্ছে। আজ (৩১ মার্চ) মোট মৃত্যু ৯ হাজার আর শনাক্ত ৬ লাখ ছাড়িয়েছে। এছাড়া গত কয়েকদিন ধরে আক্রান্ত টানা ৫ হাজারের উপরে। সবমিলিয়ে দেশের করোনা পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছে।
এরই মধ্যে সুখবর দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে তারা জানিয়েছে, করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। সেই সঙ্গে স্বরূপে ফিরবে বাংলাদেশের অর্থনীতিও। চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে। আর আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে তা পৌঁছতে পারে ৫ দশমিক ১ শতাংশে।
করোনায় মৃত্যুর পাশাপাশি অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর ভয়ও জেকে বসেছে জনমনে। চারিদিকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি নানা ঝুঁকিতে। এমন অবস্থায় বিশ্বব্যাংকের এই খবর বেশ ইতিবাচক।
গত জানুয়ারির প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলেছিল, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৭ শতাংশ হবে। তবে অবস্থার পরিবর্তন হওয়ায় তা অনেকটাই উন্নতির পথে। অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে প্রবাসী আয়ের ওপরই বেশি ভরসা বিশ্বব্যাংকের।
প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলছে, যতটা আশা করা হয়েছিল তার চেয়েও বেশি প্রবাসী আয় আসায় চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে তা পৌঁছতে পারে ৫ দশমিক ১ শতাংশে। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ২ শতাংশ।
সারাবিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনার কারণে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির মুখে। তারমধ্যেও বাংলাদেশ একটি মিশ্র অবস্থার মধ্যে বছর পার করেছে। সরকারের প্রণোদনাসহ জনগণের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে তা সম্ভব হয়েছে বলে আমরা মনে করি। তবে বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জটাও মোকাবিলা করা খুবই জরুরি। কারণ করোনার পরিস্থিতি আবার যদি বেশি খারাপ হয়, তাহলে অবস্থার নেতিবাচক পরিবর্তন হতে বেশি সময় লাগবে না বলে আমাদের শঙ্কা। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সচেতনতা থাকলে করোনাকালের এই সময় কাটিয়ে ওঠা সময়ের ব্যাপার মাত্র।