পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান স্বীকার করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশে পাকিস্তানি সেনা বাহিনী এবং আন্তঃবাহিনী গোয়েন্দা সংস্থা (আইএসআই) আফগানিস্তানে আল কায়েদা এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
সোমবার রাতে নিউইয়র্কের কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস থিঙ্ক ট্যাঙ্কে বক্তব্য রেখে ইমরান খান আরও বলেন: ২০০১ এর সেপ্টেম্বরে সন্ত্রাসী হামলার অপরাধীদের অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করেছিল পাকিস্তান, কিন্তু এটি পাকিস্তানের বৃহত্তম ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে। এর ফলে পাকিস্তানের অর্থনীতিতে ২০০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছিল।
তবে এ সময় প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পূর্ববর্তী সরকার যা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা তাদের আদৌ উচিৎ ছিল না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিসের একটি মন্তব্যের জবাবে ইমরান খান বলেছেন যে, পাকিস্তান কেন উগ্রপন্থী হয়ে উঠল তা আমেরিকার বোঝা উচিত। তিনি বলেন, এটা আমাদের ভুল ছিল যে ৯/১১ ঘটনার পরে আমরা আফগানিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে আমেরিকাকে সমর্থন করেছি।
ইমরান খান বলেন: ১৯৮০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় পাকিস্তান আফগানিস্তান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন করেছিল। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং আইএসআই জঙ্গিদের সোভিয়েতের বিরুদ্ধে জিহাদ পরিচালনার প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। যা পরে আল কায়দা নামে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যায়। তারপর মার্কিন ক্ষমতা বিস্তার করে আফগানিস্তানে। কিন্তু, এই সন্ত্রাসী সংগঠনগুলি পাকিস্তানেই থেকে যায়।
পরে ৯/ ১১-এর ঘটনা ঘটে এবং আবারও পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আসে, এ কারণেই আমরা বারবার আঘাত পেতে থাকি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এখানে জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয়েও বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেন: জম্মু ও কাশ্মীরের নিষেধাজ্ঞা অপসারণ করা উচিত ভারতের। যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় দেশ, জাতিসংঘের মতো সংস্থার এই ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করা উচিত, যাতে ভারতকে চাপ দেওয়া যায়।