চট্টগ্রাম থেকে: প্রথম দুই ওভারে দিলেন মাত্র ১৩ রান। নিজের তৃতীয় ওভারে দিয়ে বসলেন ২৮। আর ইনিংসের শেষ ওভারে ১৮। তাতে বিপিএলে লজ্জার এক রেকর্ডে নাম লেখালেন নূর আলম সাদ্দাম। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে খুলনা টাইটানসের এ পেসার ৪ ওভারে দিয়েছেন ৫৯ রান।
বিপিএল ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড যৌথভাবে ছিল সিলেট সিক্সার্সের দুই পেসার আল-আমিন হোসেন ও মেহেদী হাসান রানার দখলে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চলতি মৌসুমে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৫৭ রান দেন রানা। তার আগে মিরপুরে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ৫৭ রান দেন আল-আমিন।
ভিক্টোয়ানস ওপেনার এভিন লুইস ১০৯ রানের ইনিংস খেলার পথে সাদ্দামকে মারেন ৫ ছক্কা। এ পেসারের তৃতীয় ওভারে মারেন তিন ছক্কা। আর শেষ ওভারে মারেন দুটি। ছক্কা মেরেই তিন অঙ্কে পৌঁছান এই ক্যারিবিয়ান।
তাতে বিপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ (২৩৭/৫) গড়েছে কুমিল্লা। এই মাঠে দুই ম্যাচ আগেই চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ২৩৯ রান তোলে রংপুর রাইডার্স। সে রেকর্ডের খুব কাছে চলে গিয়েছিল কুমিল্লা।
বিশাল স্কোর গড়ার পেছনে ব্যাটসম্যানদের দাপটের পাশাপাশি ভূমিকা রাখে খুলনার এলোমেলো বোলিংও। তারা ২০ ওভারে ওয়াইড দেয় ২১টি। একটি নো বল ও দুটি বাইয়ে অতিরিক্ত খাত থেকে আসে ২৪ রান। যা কিনা এবারের আসরে মি. এক্সট্রা থেকে আসা সর্বোচ্চ।
বিপিএলের গত আসরে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে ঢাকা ডায়নামাইটসের বোলাররা এক্সট্রা ২৭ রান দিয়ে রেকর্ড গড়েছিল। যেদিন ওয়াইড করে ২২টি।