শুক্রবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা। কালবৈশাখী ঝড়ের আভাস। উঠলও একরকম ঝড়। ফতুল্লায় আল-আমিন হোসেনের সেই ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হল বিকেএসপি।
আল-আমিনের বোলিং তাণ্ডবে বিকেএসপির ব্যাটসম্যানরা কেবল উইকেটে এসেছেন আর সাজঘরের পথ ধরেছেন। প্রাইম ব্যাংকের ২২৩ রানের জবাবে মাত্র ৫০ রানে অলআউট হয়েছে তরুণদের নিয়ে গড়া দলটি। আর ১৭২ রানের বিশাল জয় নিয়ে চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সুপার সিক্স নিশ্চিত করার পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে এনামুল হকের দল।
মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশ পেয়ে সুইংয়ের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন আল-আমিন। ৮ ওভার বল করেছেন। ২০ রান খরচ করেছেন, উইকেট নিয়েছেন ৫টি। বিকেএসপির প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের পাঁচ জনই শিকার এই পেসারের। অভিমন্যু ঈশ্বরণের হাতে শামীম হোসেন রানআউট হলে প্রথম ছয়ের অন্যটি আল-আমিনের নামের পাশে লেখার সুযোগ হয়নি!
আল-আমিন তাণ্ডবে এক পর্যায়ে মাত্র ২৬ রানে ৬ উইকেট হারায় বিকেএসপি। লোয়ারঅর্ডার ব্যাটসম্যান পারভেজ ইমন ১৫ রান করে লজ্জা এড়িয়েছেন সর্বনিম্ন রানের।
অল্পের জন্য সর্বনিম্ন রানের ইনিংসে নাম ওঠেনি বিকেএসপির। ২০০২ সালে সিলেটের বিপক্ষে চট্টগ্রামের ৩০ রান এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ঘরোয়া লিস্ট-এ ক্রিকেটে সর্বনিম্ন রানের ইনিংস। বিকেএসপির ইনিংসটি ঠাই পেয়েছে পঞ্চম স্থানে।
বিকেএসপির ইনিংসটিতে তিনজন ব্যাটসম্যান রানের খাতাই খুলতে পারেননি। সর্বোচ্চ ১৫ করা ইমনই কেবল দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছেছেন। বাকিদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আব্দুল কাইয়ুমের, ৭!
প্রথমে ব্যাট করে বিপদে পড়েছিল প্রাইম ব্যাংকও। ভারতীয় ব্যাটসম্যান অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও নাহিদুল ইসলামের ফিফটি বিকেএসপির মত দশা হতে দেয়নি। সেঞ্চুরি থেকে ৮ রান দূরে থেকে রান আউটে আক্ষেপে পুড়েছেন অভিমন্যু। ৫০ রান এসেছে নাহিদের ব্যাটে। অবশ্য আল-আমিনের কল্যাণে দিন শেষে ২২২ রানই বিশাল সংগ্রহ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রাইম ব্যাংকের জন্য!