ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগে রাজধানীর আদাবর থানার বরখাস্ত এসআই রতন কুমার কারাগারে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক সালাউদ্দিন আহমেদের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন এসআই রতন। আদালত তা নামঞ্জুর করে রতনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ আমলে নিয়ে রতন কুমারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক সালেহ উদ্দীন আহমেদ ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ হাফিজুর রহমান ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসআই রতনের আচরণ ছিলো অপেশাদার।গত ৩১ জানুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শিয়া মসজিদের সামনে পুলিশের এসআই রতন কুমার হালদারের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীকে হয়রানী করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
ওই ঘটনার পর এ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রী। তাতে বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্লাস শেষে বেলা তিনটায় রিকশায় করে ফেরার পথে মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদের সামনে আদাবর থানার এসআই রতন কুমার হালদার রিকশা থামিয়ে তাকে নামতে বলেন। এ সময় রতনের সঙ্গে দুজন কনস্টেবলও ছিলেন। এরপর তাকে একটি দোকানে ঢুকতে বলেন ওই এসআই। ঢোকার পর এসআই রতন তার (ছাত্রী) কাছে ২০০ ইয়াবা আছে বলে দাবি করেন। দোকান থেকে সবাইকে বের করে দিয়ে তার ব্যাগে তল্লাশি চালানো হয়। তার জ্যাকেট খুলতে বলা হয় এবং নানা ধরনের কটূক্তি করা হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তাকে হয়রানি করা হয়।’