আনুষ্ঠানিকভাবে বিভক্ত হয়ে গেল এতদিন এক প্রদেশ হিসেবে থাকা জম্মু কাশ্মীর। আজ থেকে প্রদেশটি জম্মু ও কাশ্মীর নামে দু’টো আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে পরিচিত হবে।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হওয়ার কারণে এখন থেকে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য সরকার নয়, সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে পরিচালিত হবে। একই নিয়মের মধ্যে থাকছে চীনের সীমান্তবর্তী অঞ্চল লাদাখ। সেটিও জম্মু ও কাশ্মীর থেকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে গণ্য হবে।
গত আগস্টে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের মাধ্যমে জম্মু কাশ্মীর প্রদেশের বিশেষ মর্যাদা ও স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ওই সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে জম্মু কাশ্মীর রাজ্যের জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখসহ পুরো এলাকাকে তিন ভাগে বিভক্ত করে তিনটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের ঘোষণাও দেয়া হয়। উদ্দেশ্য: ভারতশাসিত কাশ্মীরের ওপর কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ জোরদার করা।
সেই সিদ্ধান্তেরই বাস্তবায়ন হলো এবার।
বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাটে আয়োজিত এক সমাবেশে বলেন, ‘এবার সমন্বিত যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার আসল ফল বোঝা যাবে। নতুন মহাসড়ক, নতুন রেলপথ, নতুন নতুন স্কুল, হাসপাতাল জম্মু এবং কাশ্মীরের জনগণকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।’
রাজ্য সরকারের শাসনের তুলনায় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলো অনেক কম স্বায়ত্তশাসন সুবিধা ভোগ করে থাকে।
সিদ্ধান্তটি কার্যকর হওয়ার মধ্য দিয়ে পুরনো জম্মু কাশ্মীর রাজ্যের ৯৮ শতাংশ জনগণই জম্মু এবং কাশ্মীর অঞ্চল দু’টিতে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীর উপত্যকায় থাকছে ৮০ লাখের মতো মানুষ। আর হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মু এলাকায় থাকছে বাকি প্রায় ৬০ লাখ।
এছাড়া তৃতীয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখে রয়েছে ৩ লাখ জনগোষ্ঠী, যাদের মধ্যে মুসলিম ও বৌদ্ধদের সংখ্যা প্রায় সমান। পুরো অঞ্চলটি উচ্চ মালভূমি জাতীয় মরু এলাকা।