সিঙ্গাপুরে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ১০ বাংলাদেশি সুস্থ আছেন। নতুন করে আর কোনো বাংলাদেশি
আক্রান্ত হননি।
সরকারের রোগতত্ত্ব রোগনির্ণয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান
আইইডিসিআর বলছে, দেশে ২০১৪ সালে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষায় একজন জিকা আক্রান্ত
সনাক্ত হলেও এখন পর্যন্ত আর কাউকে পাওয়া যায়নি।
বিশ্বের ৭০টি দেশে এ মুহূর্তে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ চলছে। সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ৩ সেপ্টেম্বরের হিসাবে, দু’শ পনের জন ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশি রয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশে সংক্রমণ ঠেকাতে প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়। বিমানবন্দরগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়।
আইইডিসিআর এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, গতকাল পর্যন্ত ২শ পনের জন সিঙ্গাপুরে পাওয়া গেছে, সেখানে কোনো বাংলাদেশি নেই। যে দশজন ছিলেন সেই তথ্যই আছে আমাদের কাছে। সব মশা মানেই তো ডেঙ্গু মশা নই। আবার সব ডেঙ্গু মশাতেও জিকা নেই।
“শুধু যেসব মশা আক্রান্ত তারা কামড়ালেই জিকার সম্ভাবনা থাকে। তো আপাতত মশার কামড় থেকে নিজেদের রক্ষা করতে হবে। মশাড়ি টাঙিয়ে ঘুমালে এবং কোনো পানি জমতে না দিলে জিকা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।”
ডেঙ্গুর মতো ‘জিকা’ ভাইরাসও এডিস মশার কামড়ে ছড়ায়। এর লক্ষণগুলো হল, হালকা জ্বর, চোখ লাল হওয়া, মাথা ব্যথা, বমি, হাড়ের সংযোগস্থল ও মাংসপেশিতে ব্যথা এবং শরীরের চামড়ায় লাল দানা।
গর্ভস্থ শিশুর ওপর এর সব চেয়ে বেশি খারাপ প্রভাব পড়ে। কিছু ক্ষেত্রে গর্ভের শিশু অপরিণত ছোট মাথা নিয়ে জন্মায়।
জিকার লক্ষণ এক সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে। সাধারণত জিকা আক্রান্ত প্রতি পাঁচজনে একজনের মধ্যে এসব লক্ষণ দেখা যায়। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ এ ভাইরাস প্রতিরোধের উপায়।
ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হসপিটালের প্রেড্রিয়াটিক নিউরোলজিস্টের সহযোগী অধ্যাপক ডা: শেখ আজিমুল হক বলেন, জিকা নিয়ে আমাদের তেমন মাথাব্যথা নেই। তবে যেসব শিশু ছোট মাথা নিয়ে জন্মাচ্ছে তাদের প্রধান কারণগুলো নির্ধারণে আমরা কাজ করছি। সন্তান হওয়ার পরই মায়ের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, আরেকটি হলো রুবেলা।
আইইডিসিআর বলছে, দেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সফল ব্যবস্থাপনার আদলে ‘জিকা ভাইরাস’ প্রতিরোধে জোরালো কার্যক্রম চলছে।