শুক্রবার কাতালোনিয়া সরকার স্বাধীনতার ঘোষণা করেছে। প্রদেশটির স্পেন থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গড়তে এবার দরকার জাতিসংঘ এবং ইইউ সদস্যভুক্ত দেশগুলোর সমর্থন। স্বাধীনতা পেলে সবকিছুই নতুন করে শুরু করতে হবে। দেখা মিলবে একটি নতুন ফুটবল দলেরও। শক্তিশালী একটি ফুটবল দল গড়া অবশ্য কঠিন কিছু হবে না কাতালোনিয়ার জন্য। সেই দলে আবার খেলার সুযোগ থাকছে লিওনেল মেসিও!
কৈশোর থেকে স্পেনের বাসিন্দা আর্জেন্টিনার মেসি। দেশটির নাগরিকত্বও আছে ফুটবল জাদুকরের। ক্লাবে টানা খেলছেন বার্সেলোনার হয়ে। তবে জাতীয় দলের ক্ষেত্রে বেছে নিয়েছেন জন্মভিটে আর্জেন্টিনাকেই। স্পেন অবশ্য চেয়েছিল মেসি তাদের হয়ে খেলুক। মেসি সেই ডাকে সাড়া দেননি। দিলে সুযোগ ছিল স্পেনের ২০১০ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য হওয়ার। সেই মেসি আর্জেন্টিনা ছেড়ে কাতালোনিয়ার হয়ে খেলবেন সেটা শুনলে অনেকের ভ্রুই কুঁচকে যাবে শুরুতে। তবে এমন সম্ভাবনা কিন্তু একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
স্পেন থেকে কাতালোনিয়া আলাদা হয়ে স্বাধীনরাষ্ট্র গড়লে প্রথম সুযোগেই স্বাধীন দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ থাকবে মেসির। প্রদেশটির জন্য এমনিতেই আলাদা একটি ভালোবাসা কাজ করে পাঁচবারের ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনে। কদিন আগে বড় ছেলে থিয়াগো কে দিয়ে কাতালানদের স্বাধীনতায় অনুপ্রেরণাদায়ী কবিতা আবৃত্তি করিয়ে সেটার ভিডিও পোস্ট করেছেন সামাজিক মাধ্যমে।
স্প্যানিশ গণমাধ্যমগুলো সেসবকে দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে সম্ভাবনার খবর ছাপিয়ে দিচ্ছে। বলছে, একদিন হয়ত কাতালানদের জার্সিতেও খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে পারেন মেসি। বিশ্বসেরা ফুটবলারটিকে দুবাহুতে বরণ করে নিতে আপত্তি থাকবে না কাতালোনিয়ারও।
তবে কাতালোনিয়া স্বাধীনতা পাওয়ার পরও যদি আর্জেন্টিনার হয়ে একটি ম্যাচও খেলে ফেলেন মেসি, তাতে আর সুযোগ থাকবে না ফুটবল জাদুকরের সামনে। সেক্ষেত্রে একটি লম্বা প্রক্রিয়া শেষ করেই কাতালানদের হয়ে খেলার সুযোগ খুঁজতে হবে তাকে। ততদিনে আর থাকবে না বয়স।
মেসি কী ভাবছেন সেটা অবশ্য জানাতে পারছে না কাতালোনিয়ার গণমাধ্যমগুলো। না জেনেও বলে দেয়া যায়, রাশিয়া বিশ্বকাপ-২০১৮তে দলকে কোয়ালিফাই করাতে সর্বস্ব নিংড়ে দেয়া মেসি আপাতত আর্জেন্টিনার দীর্ঘ শিরোপা খরা ঘোচানোর বাইরে কিছুই ভাবছেন না!