শরীয়তপুরের মুসলিম লীগ নেতা সোলায়মান মোল্লা ও জামায়াত নেতা ইদ্রিস আলী সরদারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে তদন্ত সংস্থা। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, লুন্ঠন ও দেশত্যাগের চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে, ওলামা লীগ সভাপতি ইলিয়াস বিন হেলালীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ করা হলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবেন তারা।
তদন্ত সংস্থার সহ-সমন্বয়ক সানাউল হক বলেন, ভয় ভীতি, হত্যা, ধর্ষণ, অত্যাচার করা মানুষকে ধ্বংস করে দেওয়ার একটি অপচেষ্টা।
এ সময় সাংবাদিকদের কাছে তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান তাদের কয়েকটি কুকীর্তি তুলে ধরেন।
প্রথমে মুসলিম লীগ এবং পরে জমিয়াতুল উলামায়ে ইসলামী পার্টিতে যোগ দিয়ে ৭০-এ নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে হেরে যান শরীয়তপুরের পালং থানার সোলায়মান মোল্লা। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে বর্তমানে আটক আছেন এ আসামি।
পলাতক একই জেলার অপর আসামি ইদ্রিস আলী সরদার। মুক্তিযুদ্ধের আগে ইসলামী ছাত্র সংঘের এ নেতা পরে জামায়াতে সঙ্গে যুক্ত হয়। একাত্তরে এ দু’জন দখলদার পাকিস্তানীদের সহায়তায় শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনী গঠন করে শরীয়তপুরের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়ে হত্যা, ধর্ষণ, লুন্ঠন এবং অগ্নিসংযোগের মতো অপরাধ করে। দেশত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগকে প্রথমবারের মতো আলাদা একটি অভিযোগ হিসেবে প্রতিবেদনে তুলে ধরার কারণ ব্যাখ্যা করে তদন্ত সংস্থা।
সম্প্রতি ওলামা লীগের একাংশের সভাপতি ইলিয়াস বিন হেলালীকে স্বাধীনতাবিরোধী ও রাজাকার উল্লেখ করে বিবৃতি দেয় আওয়ামী ওলামা লীগের অপর অংশের সভাপতি। হেলালীর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে কি না সে বিষয়ে অবস্থান ব্যাখ্যা করে তদন্ত সংস্থা।
তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে, দু’মাসের মধ্যে আরও কয়েকজন আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে পারবেন তারা।