ইনিংসের নবম ওভারে ক্রিজে নামা ক্রেইগ আরভিন আউট হলেন দিনের খেলা ১০ বল বাকি রেখে। জিম্বাবুয়ে অধিনায়কের সেঞ্চুরি (১০৭) ছাপিয়ে প্রথমদিনের নায়ক হয়ে থাকলেন নাঈম হাসান। তরুণ অফস্পিনার করেছেন দারুণ বোলিং। মহামূল্যবান হয়ে ওঠা আরভিনের উইকেটটি নেয়ার আগে ফিরিয়েছেন জিম্বাবুয়ের আরও তিন ব্যাটসম্যানকে।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আরভিনের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে সিরিজের একমাত্র টেস্টের প্রথমদিন শেষে জিম্বাবুয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ২২৮ রান। খেলা হয়েছে পুরো ৯০ ওভারই। ছয় শিকারের চারটি করেছেন নাঈম। ৩৬ ওভার বল করে দিয়েছেন মাত্র ৬৮ রান। আবু জায়েদ রাহি নিয়েছেন দুটি উইকেট।
আরভিন তিনঅঙ্কে পৌঁছান ২১৩ বল খেলে ৩১৫ মিনিট ক্রিজে কাটিয়ে। মারেন ১৩টি চার। শেষপর্যন্ত টিকতে পারলে মিরপুর টেস্টের প্রথমদিন হয়ে যেত জিম্বাবুয়েরই! সেটি হতে দেননি নাঈম। ব্যক্তিগত ১০৭ রানের মাথায় বোল্ড করে দেন দারুণ এক ডেলিভারিতে। থামে ৩১৯ মিনিটের প্রতিরোধ।
শনিবার সকালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে জিম্বাবুয়ে ওপেনারদের সংগ্রাম করতে হয়েছে শুরুতে। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে ব্যাট থেকে আসে প্রথম রান। অষ্টম ওভারের শেষ বলে প্রথম সাফল্যের দেখা পেয়ে যায় বাংলাদেশ।
আবু জায়েদের বলে কেভিন কাসুজা (২) গালিতে দাঁড়িয়ে থাকা নাঈমের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ তখন ৭ রান।
সময়ের সঙ্গে সচল হয় জিম্বাবুয়ের রানের চাকা। বাংলাদেশের পেস-স্পিন সামলে দারুণ লড়ে যান আরেক ওপেনার প্রিন্স মাসভাউরে। একটি মাত্র উইকেট হারিয়ে সফরকারীরা পার করে দেয় প্রথম সেশন। ৩০ ওভারে ৮০ রান তুলে দিনের প্রথম ভাগটা নিজেদের করে নেয় আরভিনের দল।
লাঞ্চ বিরতির পর বাউন্ডারি মেরে ফিফটি পূর্ণ করেন মাসভাউরে। আরভিনের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে পাড়ি দেন শতরানের পথ। ১১৮ রানের মাথায় মাসভাউরেকে কট অ্যান্ড বোল্ড করে ব্রেক থ্রু এনে দেন নাঈম। ১১১ রানের সেই জুটি ভেঙে স্বাগতিক ড্রেসিংরুমে স্বস্তি ফেরান এ অফস্পিনার। মাসভাউরে ১৫২ বলে ৯টি চারের সাহায্যে খেলে যান ৬৪ রানের দারুণ এক ইনিংস।
নাঈম দ্বিতীয় সাফল্য পেয়ে যান পরের ওভারেই। ব্রেন্ডন টেলরকে বোল্ড করে। দারুণ শুরু করা ডানহাতি ব্যাটসম্যান ১০ রানে থাকার সময় রিভার্স সুইপ খেলতে যেয়ে বল টেনে আনেন স্টাম্পে। ১৩৪ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় সফরকারীরা। পরে আরভিনের সঙ্গে জুটি বাধেন সিকান্দার রাজা।
৩ উইকেটে ১৫০ রান নিয়ে চা-বিরতিতে যায় জিম্বাবুয়ে। বিরতির পর নাঈমই ভাঙেন জমে ওঠা জুটিটি। রাজার ব্যাট ছুঁয়ে বল যায় উইকেটরক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসে। ৬২ বল খেলে তিন চারে এ ডানহাতি করে যান ১৮ রান। আরভিনের সঙ্গে চতুর্থ উইকেট জুটিতে যোগ হয় ৪০ রান।
জিম্বাবুয়ের স্কোর দুইশ ছোঁয়ার আগে তাইজুল ইসলামের বলে ১ রানে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান মারুমা। যদিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। আবু জায়েদের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন সাজঘরে। দ্বিতীয়বারও এলবিডব্লিউ হয়ে রিভিও নিয়েছিলেন এ ডানহাতি। সেযাত্রায় আর রক্ষা পাননি। ৭ রান করে ফিরতে হয়।