বাংলাদেশকে আরও ৬২ লাখ ফাইজারের টিকা অনুদান হিসেবে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া কোভিড-১৯’র টিকা অনুদানের পরিমাণ ৫ কোটি ছাড়িয়েছে।
ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া সর্বসাম্প্রতিক এই সহায়তার ফলে বাংলাদেশের যুবসমাজ, দুর্গম জনপদ ও নাজুক জনগোষ্ঠীর মধ্যে টিকার বুস্টার ডোজ দেয়া সম্ভব হবে জানায় মার্কিন দূতাবাস।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যুবসমাজ ও দুর্গম এলাকার জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনার প্রচেষ্টায় সহায়তা হিসেবে কোভ্যাক্স’র মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ফাইজারের তৈরি কোভিড-১৯’র আরো ৬.২ মিলিয়ন (৬২ লাখ) ডোজ টিকা অনুদান দিয়েছে। আমেরিকার জনগণের পক্ষ থেকে সাম্প্রতিক এই অনুদানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রদত্ত মোট টিকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫১ মিলিয়নেরও (৫.১ কোটি) বেশি এবং সামনের মাসগুলোতে আরো কয়েক লাখ ডোজ টিকা আসার সময়সূচি নির্ধারিত রয়েছে।
সম্প্রতি ১০ কোটি মানুষকে কমপক্ষে এক ডোজ টিকা প্রদানের মাইলফলক অতিক্রম করায় বাংলাদেশ সরকারকে সাধুবাদ জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স হেলেন লা’ফেইভ জানান, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে জীবনরক্ষাকারী টিকা অনুদান অব্যাহত রাখবে এবং ২০২২ সালের মাঝামাঝি নাগাদ দেশের ৭০% মানুষকে পুরো ডোজ টিকা সম্পন্ন করতে সহায়তা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, টিকা অনুদানের পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রমে সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ৭,০০০ এরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকাদান ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ, শীতলীকৃত মজুদ ও পরিবহন ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা এবং শিক্ষার্থী ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে টিকাদানের লক্ষ্যভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়াও কোভিড সংক্রান্ত উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা হিসেবে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ১২ কোটি ১০ লক্ষ ডলারেরও বেশি অনুদান দিয়েছে বলে জানায় দেশটি।