রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির আরও ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বিজ্ঞ আদালত।
বৃহস্পতিবার তাকে ৩য় দফায় রিমান্ডে নেয়া এবং জামিন আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩য় দফায় ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে সিআইডি।
এদিন সকাল ১১টার দিকে তাকে ঢাকার সিএমএম কোর্টের এজলাসে তোলা হয়। এর আগে সকালে কাশিমপুর কারাগার থেকে পরিমনিকে আদালতে নেয়া হয়।
শুনানিতে পরীমনির রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জামিনের জন্য যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন তার আইনজীবী মজিবুর রহমান। তবে মাদকের উৎস সমন্ধে আরও তথ্যের জন্য রিমান্ড চাওয়া হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু।
গত ৪ আগস্ট ‘সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান’ চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয় বলে র্যাব জানায়। এছাড়া তার ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম, বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয় বলেও জানানো হয়।
এরপর রাত ৮টা ১০ মিনিটে পরীমনিকে তার বাসা থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। ৮টা ৪৫ মিনিটে গাড়ি কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দপ্তরে পৌঁছায়। সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব।
পরদিন ৫ আগস্ট বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে র্যাব সদরদফতর থেকে পরীমনি, রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে কালো একটি মাইক্রোবাসে করে নিয়ে বনানী থানায় রওনা দেয় র্যাবের একটি টিম।
এরপর র্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী বিপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় দায়ের করেন৷ মামলার পর রাত ৮ টা ২৪ মিনিটে পরীমনি ও তার সহযোগীকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর বনানী থানার মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এসময় আসামি পক্ষে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একইদিন ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদের আদালত মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।
এরপর গত ১০ আগস্ট তার আরও ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।