ছেলেটির বাঁচার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন ডাক্তাররা। এমনকি তাকে মৃত বলে ঘোষণা দিয়ে খুলে ফেলা হয় লাইফ সাপোর্টও। কিন্তু সবাইকে অবাক করে হাসপাতালের বিছানায় দীর্ঘদিন অচেতন পড়ে থাকা ট্রেনটন ম্যাককিনলি নামের শিশুটি হঠাৎই জেগে উঠল।
এ ঘটনার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা রাজ্যের ১৩ বছরের এ শিশুটিকে সবাই অলৌকিক বালক হিসেবেই ডাকছে। কিন্তু যখন জেগে উঠলেন ততোক্ষণে মৃত্যু ভেবে শিশুটির বাবা তার অঙ্গদানের কাগজপত্রে সাক্ষরের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
জানা গেছে, গাড়ি দুর্ঘটনায় শিশুটি মাথায় আঘাত পেয়ে বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন ট্রেনটন। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং চিকিৎসক তার মা-বাবাকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, সে কখনও সুস্থ হয়ে উঠবে না।
তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ যদি হাসপাতালে দান করা হয় তাহলে আরও পাঁচটা শিশুর অঙ্গ প্রতিস্থাপনে কাজে দিবে। এর একদিন পূর্বে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়া হয়। কিন্তু তারপরও ট্রেনটনের জ্ঞান ছিল।
মার্চে এক দুর্ঘটনায় ট্রেনটন তার মস্তিস্কে গুরুতর আঘাত পান। এমনকি তার মাথার খুলির সাতটি জায়গার হাড়ও ভেঙ্গে যায়।
শিশুটির মা জেনিফার বলেন, তার ছেলের কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল, এবং কৃত্রিমভাবে হ্রদযন্ত্র চালু রাখা হয়েছিল। তাই ডাক্তাররা সব আশা ছেড়ে দিয়ে বলেছিল, সে আর কখনই স্বাভাবিক হবে না।
তারপরও শিশুটির এমন অস্বাভাবিকভাবে বেঁচে যাওয়ার পর থেকেই সবাই তাকে বিস্ময় বালক বলেই ডাকছে। যেন মৃত্যুকে জয় করে আবার নতুন জীবন ফিরে পেলেন তিনি।