ছোট-বড় পর্দার অভিনয়ে রাফিয়াত রশিদ মিথিলা বেশ রুচিশীল! বেছে বেছে গল্প ও চরিত্র নির্বাচন বলেই হয়তো তার কাজগুলো দর্শক মহলে এতো প্রশংসিত হয়।
নতুন খবর হচ্ছে, জনপ্রিয় তারকা মিথিলা প্রথমবারের মতো ‘মনপুরা’ খ্যাত নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের পরিচালনায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন।
সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ‘কাজলরেখা’ নামে এ ছবিতে মিথিলা হচ্ছেন প্রধান ‘ভিলেন’। চ্যানেল আই অনলাইনকে মিথিলা বলেন, ছবির ‘মেইন এন্টাগনিস্ট’ হচ্ছি আমি। চরিত্রের নাম ‘কঙ্কণ দাসী’। পরিচয় বহুদিনের হলেও ‘কাজলরেখা’র মাধ্যমে প্রথমবার সেলিম ভাইয়ের নির্দেশনায় কাজ করতে যাচ্ছি। যেহেতু বেশি কাজ করি না তাই হয়তো এতদিন আমাদের একসঙ্গে কাজ হয়নি।
মিথিলা যোগ করে বলেন, সবসময় এমন কিছু করতে চাই, যে চরিত্রে আমাকে কখনও কেউ ভাববে না। টেলিভিশনে আমি এতো বছর যেসব চরিত্র করেছি ওগুলো থেকে আমার এবারের চরিত্রটি একেবারে আলাদা। ‘কাজলরেখা’য় আমি ভিলেন চরিত্র করছি। সেলিম ভাই যখন গল্পটা আমাকে নতুন করে শোনান তখন থেকেই আমার ‘কঙ্কণ দাসী’ চরিত্রটি ভালো লেগে যায়।
‘আমি সবসময় চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। চ্যালেঞ্জ নিয়ে জয়ী হলে অন্যরকম তৃপ্তি পাই। এখানে ভিলেন চরিত্রটি করা আমার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং। যদিও আমার চেহারায় একটা অবলা ব্যাপার আছে! তবে এই চরিত্রটির গভীরতা অনেক বেশি।’
যোগ করে বলেন, চরিত্রটিকে আমি ভালোবেসে ফেলেছি। ময়মনসিংহ গীতিকার একমাত্র রূপকথা ‘কাজলরেখা’ পালা। আমাদের প্রাচীন সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত। ছোটবেলা থেকে গল্পটি সম্পর্কে অবগত। যখন গল্প শুনি এটা থেকে সিনেমা হচ্ছে তখন নিজের মধ্যে কৌতূহল জন্মায়। এই গল্পের সঙ্গে থাকতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত।
সরকারি অনুদান প্রাপ্ত ‘কাজলরেখা’র শুটিং শুরু হবে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে নেত্রকোনার দূর্গাপুরে। মিথিলা ছাড়াও এতে অভিনয় করছেন শরিফুল রাজ, ইরেশ যাকের, মন্দিরা চক্রবর্তী, আজাদ আবুল কালামসহ আরও অনেকে।
পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম বলেন, এই সিনেমায় ৪০০ বছর আগের আমাদের সোনালি অতীতের একফালি রোদ জাতীর গায়ে লাগাতে চাই।