‘আমি মানসিকভাবে অসুস্থ। আমার মাথার ঠিক নেই।’ বললেন রাবেয়া সুলতানা রুবি। সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন। তিনি তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন মাত্র। নিউইয়র্ক থেকে প্রচারিত বাংলা আইপিটিভি ‘টাইম টিভি’তে যুক্তরাষ্ট্র সময় শনিবার রাতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুবি এসব কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে রুবি বলেন, তিনি ফিলাডেলফিয়া থেকে পালিয়ে এসেছেন। নিউইয়র্কের যেখানে আশ্রয় পান, সেখানে থাকবেন। নিজের স্বামী এবং ছেলে তাকে মানসিক রোগী হিসেবে প্রমাণ করতে চায়। নিজে একসময়য় মদ্যপান করতেন। তবে এখন সব বাদ দিয়ে ধর্মকর্ম করে শান্তি পাচ্ছেন।
এ সময় তাঁকে উদ্ভ্রান্তের মতো দেখা গেছে। সাক্ষাৎকারে তিনি যা বলেছেন, তা ছিল অসংলগ্ন। তবে তিনি দাবি করেন, একসময় মানসিক সমস্যায় থাকলেও এখন তিনি সুস্থ।
টাইম টিভির ফেসবুক পেজেও সরাসরি প্রচার করা হয় রুবির সাক্ষাতকার।
সালমান শাহ্ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রাবেয়া সুলতানা রুবি গত ৬ আগস্ট রোববার ইউটিউবে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। যেখানে তিনি স্বীকার করেন, নব্বই দশকের সবচেয়ে সফল নায়ক সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি নিজে এতে যুক্ত না থাকলেও তার স্বামী চীনা নাগরিক জ্যানলিন চ্যান, ছোট ভাই রুমী, সালমান শাহর স্ত্রী সামিরাসহ আরও কয়েকজন এই হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে উল্লেখ করেন।
সেই ভিডিও বার্তায় রুবি জানান, ‘জীবন হারানোর আশঙ্কায় আছেন তিনি। তিনিই নাকি একমাত্র জীবিত মানুষ, যার কাছে প্রমাণ আছে সালমানকে খুন করা হয়েছে। তাই তাকেও মেরে ফেলা হতে পারে। কেন খুন করা হতে পারে রুবিকে? তার মতে, ‘কারণ আবার (সালমানের মৃত্যু রহস্য) কেস ওপেন হইছে।’ এরপর আরেকটি ভিডিও বার্তায় তার সব বক্তব্য তিনি অস্বীকার করেন।
১৯৯৬ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর ১১/বি নিউ ইস্কাটন রোডের ইস্কাটন প্লাজার বাসার নিজ কক্ষে সালমান শাহকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর সালমানের স্ত্রী সামিরা হক, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মাদ ভাইসহ ১১ জনকে সালমান শাহের মৃত্যুর জন্য দায়ী করে হত্যা মামলা দায়ের করে সালমানের পরিবার। অন্য অভিযুক্তরা হলেন- সামিরার মা লতিফা হক লুসি, রিজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ, সহকারী নৃত্যপরিচালক নজরুল শেখ, ডেভিড, আশরাফুল হক ডন, রাবেয়া সুলতানা রুবি, মোস্তাক ওয়াইদ, আবুল হোসেন খান ও গৃহকর্মী মনোয়ারা বেগম।
জানা গেছে, পুলিশ দুই দফা ময়নাতদন্ত করে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলেছিল। কিন্তু তখন সালমান শাহ্র পরিবার থেকে নারাজি আবেদন করা হয়। মামলাটির বিচার বিভাগীয় তদন্তও হয়েছিল। এখন মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে ((পিবিআই) আছে।